এনটিআরসিএর গণবিজ্ঞপ্তি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২০, ১১:৩১ পিএম
লাখ লাখ শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) গণবিজ্ঞপ্তির আশায় দিন পার করছেন। শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নিমিত্তে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শূন্যপদের তথ্য অনেক আগেই সংগ্রহ করেছে ‘এনটিআরসিএ’। সূত্র মতে, প্রায় ৬০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা ছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। অতঃপর করোনা মহামারি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এলোমেলো হয়ে যায়। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় সব পর্যায়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পরীক্ষা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম চলছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পিছিয়ে আছে শুধু এনটিআরসিএ! অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি এনটিআরসিএ। নিবন্ধিত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর কয়েক দফায় স্মারকলিপি প্রদান করেও কোনো লাভ হয়নি! গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই কেবল চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন শেষে ‘সোনার হরিণ’ নামক সেই কাক্সিক্ষত চাকরি মিললেও মিলতে পারে! প্রশ্ন হলো, নিবন্ধন সনদধারী বেকার চাকরিপ্রত্যাশীদের অপেক্ষার পালা শেষ হবে কবে? ‘এমপিও নীতিমালা’ অনুযায়ী বয়স ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলে বা ৩৫-এর বেশি বয়সিরা আসন্ন গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না। দুঃখের সংবাদ, সঠিক সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি না হওয়ায় ইতোমধ্যে শত শত মেধাবী শিক্ষক নিবন্ধনধারী গত কয়েক মাসে বয়স ৩৫ অতিক্রম করে ফেলেছেন। ফলে আসন্ন গণবিজ্ঞপ্তিতে তারা আর আবেদন করতে পারবেন না। প্রতিটি দিন যাচ্ছে আর এভাবে বহু মেধাবী নিবন্ধনধারীর কপাল পুড়ছে। মুজিববর্ষে বেকারত্ব দূর করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও নিবন্ধিত চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে এমন টালবাহানা কোনোভাবেই কাম্য নয়। গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে কালক্ষেপণ করা হলে তা হবে বেকার চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল! তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অতিসত্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক। করোনাকালে থমকে যাওয়া চাকরির বাজারে সারাদেশের বেকারদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এখনই সময়।
৫/এ নারিন্দা লেন,
নারিন্দা, সূত্রাপুর, ঢাকা।
[email protected]