নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় স্বামীকে পিস্তলের মুখে জিম্মি করে গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় এক কাউন্সিলরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার ( ৮ নভেম্বর) সকালে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত পাপ্পু খন্দকার পলাশ ভাগ্যেরপাড়া গ্রামের আব্দুল ছাত্তার খন্দকারের ছেলে। ঘোড়াশাল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলম খন্দকারের ছোট ভাই। থানায় মামলা দায়ের পর থেকে অভিযুক্ত পাপ্পু খন্দকার ও তার সহযোগী পলাতক রয়েছে।

নির্যাতিত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই গৃহবধুর স্বামী অভিযুক্ত পাপ্পু খন্দকারের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক ছিল। গেল কয়েক মাস ধরে বেতন না দেওয়ায় মানবেতর জীবন পার করতে হচ্ছিল স্ত্রীসহ ওই গাড়ী চালককের। একপর্যায়ে টাকা চাইতে গেলে ২৬ অক্টোবর রাতে টাকা দেওয়ার কথা বলে গাড়ী চালক ও তার স্ত্রীকে ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে আনে অভিযুক্ত পাপ্পু খন্দকার। পরে সেখানে স্বামীকে পিস্তলের মুখে জিম্মি করে অভিযুক্ত পাপ্পুর সহযোগী শাহাদাত হোসেনের সহায়তায় ব্যক্তিগত গাড়ীর ভিতর ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পাপ্পু খন্দকার। পরে পিস্তলের ভয় দেখিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে প্রাণের ভয়ে কাউকে না জানালেও গেল কয়েকদিন ধরে অভিযুক্ত পাপ্পু খন্দকার পুনরায় ওই গাড়ী চালকের স্ত্রীকে তার কাছে এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। একপর্যায়ে বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে রবিবার সকালে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাপ্পু খন্দকার ও তার সহযোগি শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে মামালা দায়ের করেন।

পলাশ থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে থানায় ধর্ষণের একটি মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত পাপ্পু খন্দকার ও তার সহযোগী শাহাদাত পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।