×

মুক্তচিন্তা

‘বিভেদ’র বিরুদ্ধে ‘একতা’র জয়!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২০, ১১:৫৮ পিএম

‘বিভেদ’র বিরুদ্ধে ‘একতা’র জয়!
জয়-পরাজয়ের পেন্ডুলামে তিনদিন ঝুলে থেকে বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন পপুলার এবং ইলেকটোরাল কলেজ উভয় ভোটেই রিপাবলিকান প্রার্থী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও এটা কোনো সরকারি ফলাফল নয়, এমনকি কোনো অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ফলাফলও নয়, কিন্তু এটাই মূলত নির্বাচনের ফলাফল যা অঙ্গরাজ্যগুলোর নির্বাচন কমিশনের ভোট গণনার সর্বশেষ আপডেট নিয়ে মিডিয়ার প্রজেকশনের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত হয় এবং এটার ভিত্তিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন সেটা জানা যায়। যে কারণে এখনই বাইডেনকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট না বলে, বলা হবে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ২০২১ সালের জানুয়ারির ২০ তারিখ। কিন্তু গোটা পৃথিবীতেই এখন থেকে হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হিসেবে বাইডেনকে ধরে নিয়েই সব আলোচনা, সমালোচনা, বিচার-বিশ্লেষণ, শুভ কামনা, শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দনের জোয়ার বইয়ে যাবে। বাইডেনের বিজয় এবং ট্রাম্পের পরাজয়কে গোটা দুনিয়ার বেশিরভাগ সংবেদনশীল, উদার এবং গণতন্ত্রমনা মানুষের মতো বাংলাদেশের মানুষও বেশ উত্তেজনা, উৎসাহ এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। আমিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তাকে ‘গাধা’ (ডেমোক্রেটদের মার্কা) এবং ‘হাতি’র (রিপাবলিকানদের মার্কা) গুঁতাগুঁতিতে নিজের অনুভ‚তি প্রকাশ করেছি। কিন্তু ৩ নভেম্বর থেকে গভীর মনোযোগের সঙ্গে নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি লক্ষ করছি, নানা পরিসংখ্যানিক উত্থান-পতন দেখছি এবং জয়-পরাজয়ের পুলসেরাতে আটকে থেকে ট্রাম্প-বাইডেনের নানা বক্তব্য-বিবৃতি শুনে নিজের বিচার-বিশ্লেষণ দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। অবশেষে যখন ঘোষণা এলো যে, বাইডেনই হচ্ছেন আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট, তখন তিনটি জিজ্ঞাসা মাথায় ঘুরপাক খেল ১. কী কারণে বাইডেন নির্বাচনে জিতলেন বা ট্রাম্প হারলেন? ২. এ নির্বাচন অন্যান্য নির্বাচন থেকে কেন আলাদা বা আদৌ কি আলাদা? ৩. ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো লাফাচ্ছি ঠিক, কিন্তু বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলে আমাদের কী লাভ? এখানে সংক্ষেপে এ তিনটি জিজ্ঞাসার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। ট্রাম্পের পরাজয়ের পেছনে মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে করোনা ভাইরাসের মতো মহামারিকে যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করতে না পারা; ২ লাখের অধিক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পরও করোনা ভাইরাসকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করা; হোয়াইট সুপ্রিমেসির নামে মার্কিন সমাজে তীব্রভাবে বর্ণবাদকে উসকে দেয়া এবং তার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া; ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার’ আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে দমনের চেষ্টা এবং নানাভাবে কটাক্ষ করা; অভিবাসী ইস্যুতে অত্যন্ত রক্ষণশীল অবস্থান গ্রহণ করা; মিডিয়াকে যখন-তখন তীব্রভাবে কটাক্ষ করা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে দুর্ব্যবহার এবং অপমান করা; ইসলামবিরোধী একটা তীব্র নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা; যখন-তখন ছোটখাটো কারণে প্রশাসনের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাসপেন্ড করা; ওবামা কেয়ার বন্ধ করে স্বাস্থ্যসেবাকে সাধারণ মানুষের বিযুক্তিকরণ; যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া এবং বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে দুর্বল করা; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উইথড্র করা; সমাজের মধ্যে বিভিন্নভাবে ‘বিভেদ’ সৃষ্টি করা; কারণে-অকারণে মিথ্যা বলা আবার নিজের বক্তব্যকেই নিজে পরবর্তী সময়ে অস্বীকার করা; নির্বাচনের হেরে গেলে সেটা মেনে না নেয়ার ঘোষণা; মেইল-ইন-ব্যালট ভোটের বিপক্ষে অন্যায্য অবস্থান গ্রহণ করা; সর্বক্ষেত্রে পারিবারিক দৌরাত্ম্য সৃষ্টি করা এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়মিতভাব পিছিয়ে দেয়া। আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষ মনে করে এসব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বৈশিষ্ট্য নয়। কিন্তু এর বিপরীতে বাইডেন-কমলার জয়ের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণগুলো হচ্ছে সমাজের মধ্যে ঐক্যের ডাক দেয়া; করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঘটনার প্রতি সত্যিকার এবং তীব্র সমবেদনা প্রকাশ; বর্ণবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া; ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার’ মুভমেন্টকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেয়া; তরুণ ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করা এবং তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা উপস্থাপন করা; অভিবাসী ইস্যুতে অনেক বেশি সংবেদনশীলতা প্রকাশ করা; সমাজের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা; অর্থনৈতিক অধগতিকে ঊর্ধ্বগতিতে নিয়ে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা; মিডিয়া এবং জনসমাবেশে অত্যন্ত মার্জিত, রুচিশীল এবং পরিমিত আচরণ করা; মেইল-ইন-ব্যালট ভোটকে জনগণের অধিকার হিসেবে প্রচার এবং প্রতিষ্ঠা করা, যার কারণে প্রায় ৪-৫ কোটি ভোটার মেইল-ইন-ভোট দিয়ে নির্বাচনের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এবং সর্বোপরি আমেরিকার জনগণের মধ্যে ট্রাম্পের আচার-আচরণ-রুচি-মানসিকতা-নানা আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটা তীব্র অনীহা সৃষ্টি করতে পারার সফলতা। তবে মোটা দাগে আমার মনে হয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনের এ বিজয় প্রকৃতপক্ষে ‘বিভক্ত মার্কিনিদের মধ্যে ঐক্যের’ যে ডাক বাইডেন দিয়েছেন, এটা সেই একত্রীকরণের বিজয় কেননা ট্রাম্প আমেরিকার সমাজে যে ‘বিভেদের বিষবাষ্প’ তৈরি করেছেন, বাইডেন সেখানে ‘একতার ফল্গুধারা’ প্রবাহিত করেছেন। এটা বাইডেন তার ৭ তারিখের বক্তব্যেও সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। এ নির্বাচন সত্যিকার অর্থে অনেকগুলো ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমেরিকার ২৩১ বছরের নির্বাচনের ইতিহাসে (প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন হয়েছিল ১৭৮৯ সালে) বাইডেন সর্বাধিক পপুলার ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এবারই মেইল-ইন-ব্যালেটে সর্বাধিক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। মার্কিন নির্বাচনের ইতিহাসে এবারই সর্বাধিক অগ্রিম ভোট প্রদান করা হয়, যা এর আগে কখনো ঘটেনি। ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট কমলা হ্যারিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। কমলা হ্যারিস প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট যার পিতা-মাতার বংশলতিকা জ্যামাইকা এবং ভারতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো আমেরিকানরা একজন ‘সেকেন্ড জেন্টেলম্যান’ পেয়েছেন কারণ প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে ফার্স্ট লেডি এবং স্বামীকে ফার্স্ট জেন্টেলম্যান বলা হয়। একইভাবে ভাইস প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে সেকেন্ড লেডি এবং স্বামীকে সেকেন্ড জেন্টেলম্যান বলা হয়। যেহেতু কমলা প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেহেতু তার স্বামী আইনজীবী ডগলাস এমহোফ হবেন সেকেন্ড জেন্টেলম্যান। এবারই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সিটিং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিখ্যাত বুশ-গোর বিতর্ক আদালতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় এবং নির্বাচনের ৩৭ দিন পর মীমাংসা হয়। কিন্তু তৎকালীন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আল গোর নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেননি। আরো একটি অভিনব ঘটনা ঘটেছে এবার সেটা হচ্ছে সিটিং প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট-ইলেক্টকে ফোন করে অভিনন্দন জানান কিন্তু এবার ট্রাম্প সেটাও করেননি। বরঞ্চ উল্টো নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, নির্বাচন এখনো শেষ হয়নি। যদিও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ট্রাম্পের করা ৫টি মামলার তিনটিই খারিজ হয়ে গেছে কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারার কারণে। এ রকম অসংখ্য ঘটনা মার্কিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারই আমেরিকাসহ গোটা দুনিয়ার মানুষ প্রত্যক্ষ করল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মার্কিন নির্বাচন নিয়ে আমাদের এ উত্তেজনা এবং উচ্ছ্বাসের পেছনের কারণ কী? আমরা এ নির্বাচন থেকে কী পেলাম? রাষ্ট্রের ক‚টনৈতিক জায়গা থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্রেট সরকারের ক‚টনৈতিক সম্পর্ক তুলনামূলক বিচারে ভালো এবং সহযোগিতামুখী। বাংলাদেশি প্রচুর অভিবাসী আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বসবাস করে। বাইডেনের জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি অভিবাসী সুরক্ষার বিষয়টিও খানিকটা মজবুত হলো। তাছাড়া আমেরিকা থেকে প্রচুর রেমিট্যান্স বাংলাদেশে আসে। যেমন ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে প্রায় ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে আমেরিকা থেকে। বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার কারণে সবাই আশা করছে মার্কিন অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং সে সুবাধে বাংলাদেশে আসা রেমিট্যান্স প্রবাহ ত্বরান্বিত হবে। এছাড়া রপ্তানি সুবিধা, বিভিন্ন ধরনের ঋণ সুবিদা, ট্যারিফ মওকুপ সুবিধা এবং ইমিগ্রেশন সুবিধাসহ নানাভাবে রাষ্ট্রীয় বেনেফিটের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে মানুষ খুশি হয়েছে যতটা না বাইডেনের জয়ে, ততধিক ট্রাম্পের পতনে। কেননা একজন মানুষের যেসব বিকৃত প্রবৃত্তি যেমন হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানো, মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা, সাদা-জাতীয়তাবাদের নামে বর্ণবৈষম্য বা বর্ণবাদ উসকে দেয়া, নারীবিদ্বেষী মনোভাব, অভিবাসীদের বিরোধিতা প্রভৃতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে পুরোদমে ছিল। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে সেটা কেবলই ব্যক্তি পর্যায়ের নিজস্ব ব্যক্তিসত্তা ও ব্যক্তি-চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। সেটা পরিণত হয়েছিল মর্কিন রাষ্ট্রীয় পলিসিতে, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় এবং সমাজের অভ্যন্তরে এসব বিকৃত প্রবৃত্তির চাষাবাদের ভেতর দিয়ে। মানুষ এসব বিকৃত প্রবৃত্তি থেকে সাময়িক মুক্তি পেয়েছে, এটাই মানুষের উচ্ছ্বাসের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ। একজন প্রাজ্ঞ-পরিণত, অত্যন্ত সংবেদনশীল, উদার মানসিকতার এবং অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষ হিসেবে বাইডেনের ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিশ্রুতি মানুষকে আকৃষ্ট করেছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সঙ্গে কমলা হ্যারিসকে রানিং মেট করার কারণে ‘একটা কিনলে একটা ফ্রি’ জাতীয় লাভ হয়েছে সে বিষয়েও কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু এটা মনে রাখা জরুরি যে, মানুষ যতটা বাইডেনকে ভোট দিয়েছে, ততধিক ট্রাম্পকে প্রত্যাখ্যান করেছে। পরিশেষে বলব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যেই হোক না কেন, পররাষ্ট্রনীতিতে এর তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটে না। পুঁজিবাদের বিকাশে, করপোরেট প্রমোশনে, মুনাফা ও বেনিয়াবৃত্তিতে, সাম্রাজ্যবাদের বিস্তারে, বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠায়, বিশ্বের মোড়লত্ব ধরে রাখার ক্ষেত্রে, প্যালেস্টাইন ইস্যুতে, চীন-উত্তর কোরিয়া-ইরান ইস্যুতে এবং মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় নীতি এবং পররাষ্ট্র পলিসিতে তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না। সুতরাং বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কারণে আমেরিকা দুনিয়াতে উদার-মানসিকতা এবং মানবতার অবতার হিসেবে হাজির হবে, এটা মনে করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। তথাপি মন্দের ভালো হিসেবে ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন ভালোতর এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাইডেনের বিজয় মূলত ‘বিভেদের রাজনীতি’র বিরুদ্ধে ‘একতার দর্শন’র বিজয়। ড. রাহমান নাসির উদ্দিন : নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App