অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার প্রতিবাদে মানবন্ধন করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের রামপ্রসাদেরচর নদীর পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশানের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষপ কামনা করে বক্তব্য দেন চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার। তিনি বলেন, ভাসানিয়া দড়িচর মৌজা'র ইজারা গ্রহীতা মেসার্স ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ আর সেনেরচর সাপমাড়া ও চরেরগাঁও মৌজার ইজারা গ্রহীতা নার্গিস ট্রেডার্স। ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ তাদের ইজারাকৃত বালুমহালের পরিবর্তে সেনেরচর মৌজা রামপ্রসাদের চর গ্রামের পাশে এসে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। আর দোষ দিচ্ছেন নার্গিস ট্রেডার্সের নামে।
নার্গিস ট্রেডার্সের মালিক নুরুল আমিন বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কপি গতকাল(৫ অক্টোবর) হাতে পেয়েছি। সেখানে যে দাগ গুলো উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেখানে আমরা কখনোই বালু উত্তোলন করিনি। রামপ্রসাদেরচর গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসা করলে তারাই বলবে কে এখানে বালু উত্তোলন করে।
রামপ্রসাদেরচর গ্রামের প্রবীন আইনজীবি এ্যাড. জয়নুল আবেদিন বলেন, কয়েক বছরে সরকারের বিভিন্ন মহলে একাধিকবার আবেদন করেও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছি। আর বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের গ্রামের অনেক পরিবার ঠিকানাহীন হয়েছে।
গেল দুই বছরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে গেল দু’মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ এলাকায় একাধিকবার প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছি। তারপরও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। অব্যাহত বালু উত্তোলনে আমরা নদীভাঙনের আতঙ্কে দিনযাপন করছে। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অনেকের বসতভিটা ও ফসলি জমি।
মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায় বলেন, এখানে ইজার দেয়া দুটি বালু মহালের মধ্যে একটি হাইকোর্টেও স্থগিতাদেশ রয়েছে। একাধিকবার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ড্রেজারজব্দসহ কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানাও করা হয়েছে।