×

সারাদেশ

বেড়িবাঁধ দখল করে দোকান কেনা-বেচায় ব্যস্ত প্রভাবশালীরা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২০, ০৬:৫৪ পিএম

বেড়িবাঁধ দখল করে দোকান কেনা-বেচায় ব্যস্ত প্রভাবশালীরা!

বেড়িবাঁধে দোকান নির্মাণ করে চলছে বিক্রি

ভাঙ্গন কবলিত তেতুলিয়া নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণের বাঁধ সংরক্ষণে সিসি ব্লক ড্রেজিং ও জিওব্যাগ কার্যক্রম চলোমান থাকলেও চরফ্যাশন উপজেলার তেুতুলিয়া নদীর পাড়ে ডাম্পিং এরিয়াতেই স্থায়ি দোকানঘর নির্মাণ করে বাজার মেলানোসহ তা আবার প্রভাবশালীরা বিক্রী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ চরফ্যাশনের আওতায় উপজেলার তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা বকসী লঞ্চঘাট থেকে বাবুরহাট লঞ্চঘাট পর্যন্ত নদী প্রতিরক্ষা ও ড্রেজিং বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজের অগ্রগতী না থাকার সুযোগে প্রকল্পের এরিয়ায় বকসী লঞ্চঘাট সংলগ্ন বেড়ি বাঁধে স্থানীয় ৮ প্রভাবশালী জমি দখল করে বাজার বসিয়েছে।

এছাড়াও ওই বাজারে প্রায় অর্ধশতাধিক আধাপাকা ও টিনশেড ঘর নির্মাণ করেছে কথিত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এবং ওই ঘরগুলো পজিশন বা ভিটিসহ স্থানীয় মৎস্য আড়ৎদার ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও এসব অবৈধ নির্মাণাধীন স্থাপনা নির্মাণের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প এলাকার স্টক নদীর পাড় পাইলিং হিসেবে সংরক্ষিত সিসি ব্লক দিয়ে অবৈধভাবে ওই বাজারটির চারপাশ ঘেরাও করা হয়েছে। যা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ডিজান বহির্ভূত ও ওই প্রকল্পটির জন্য হুমকি স্বরূপ।

এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ চরফ্যাশনের উপ-সহকারী প্রোকৌশলী মো. শাহ আলম ভূইঁয়া বাদী হয়ে শশিভূষণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কলমী ইউনিয়নের আঞ্জুরহাটের বকসী লঞ্চঘাট এলাকার স্থানীয় ইসমাইল মেম্বার, তুহিন হাওলাদার, মিজানুর রহমান, আলমগীর মৃধা, আকবর হোসেন, আবুল বাশার এবং মো.হাবিবসহ, ফরহাদ মিলে ওই প্রকল্প এলাকায় বেড়িবাঁধের ওপরে আধাপাকা এসব স্থাপণা নির্মাণ করেছে বলে সূত্রে জানা যায়। নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা এবং বৃহৎ জনস্বার্থে ওই বাজারটিতে মার্কেট কিংবা অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধসহ নির্মাণাধীন স্থাপনাসমূহ অপসারণ এবং ওই মার্কেটের চতুর্দিকে গ্রাউন্ড করা সকল সিসি ব্লক যথাস্থানে স্টক করে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগে অনুরোধ করা হয়েছে।

স্থাপনা নির্মাণসহ অবৈধ দখলকারী মুন্সী মিজান সংবাদকর্মীদের বলেন, নির্মাণাধীন ওই ভিটির যায়গাটি আমাদের পারিবারিক এবং রেকর্ডকৃত সম্পদ। পানি উন্নয়ন বোর্ড তা অধিগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের জমির ওপর দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের জমিতেই ঘর নির্মাণসহ বাজার ব্যবস্থাপনা করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলা-২ এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে এ প্রসঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ভাঙ্গন কবলিত তেতুলিয়া নদী পাড়ের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কার্যক্রম চলমান এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপরে একটি বাজার মেলানোয় প্রাপ্ত তথ্যে ৮ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই আইনি ব্যবস্থা নিতে এবং ওই জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্তে থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রশঙ্গে বলেন, অবৈধ স্থাপনা খুব শীঘ্রই ভ্রাম্যমাণ অভিযানের মাধ্যমে তা উচ্ছেদ করা হবে। এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

শশিভূষণ থানার অফিসর ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ এসব স্থাপনা শীঘ্রই উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা হবে। এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়েরকৃত অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App