×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২০, ০৪:৪৮ পিএম

মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে পরিচয়ের সূত্র ধরে ১৮ বছর বয়সী এক গামেন্টসকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে শফিকুল ইসলামের। গত রবিবার বিকেলে শফিকুলের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীর আউটার রিং রোডে বেড়াতে যান ওই তরুণী। পরে রাত হয়ে গেলে শফিকুল ইসলামের সাথে আরও তিনজন যুক্ত হয়ে চারজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।

সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে কথিত প্রেমিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলো- কথিত প্রেমিক শফিকুল ইসলাম (২৫), বাদশা মিয়া (২৮) ও মো. শাহীন (২৫)। তারা পেশায় কেউ দিনমজুর, কেউ জেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের প্রত্যেককে পাঁচদিন করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করে পুলিশ। মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন পিছিয়ে বুধবার হওয়ার কথা রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা দাবি করছে, তারা পূর্ব পরিচিত একজনের মাধ্যমে ওই যুবতীকে টাকার বিনিময়ে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমেই শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। অন্যদিকে ভিকটিমের দাবি, তার সাথে আসামিদের মধ্যে শফিকুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার সাথে বিকেলে আউটার রিং রোডে ঘুরতে ঘুরতে রাত হয়ে যায়। পরে প্রেমিকের সাথে আরো তিনজন যোগ দিয়ে জোর করে তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

বন্দর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভোরের কাগজকে বলেন, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে নাইট ডিউটি করার সময় উত্তর মধ্যম হালিশহরে পুলিশের একটা টিম একজন পোশাক কর্মী যুবতীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় পায়। তখন ওই যুবতী পুলিশকে জানায়, তাকে কথিত প্রেমিকসহ চারজনে মিলে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। তখন তার দেওয়া তথ্যমতে প্রেমিকসহ তিনজনকে দিনভর অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে জোবাইর নামে এক যুবক। গ্রেপ্তারকৃতরা পলাতকের নাম ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি। বিষয়টি তদন্তাধীন। রবিবার দিবাগত রাত (১ অক্টোবর) আড়াইটার দিকে বন্দর থানার উত্তর মধ্যম হালিশহর এলাকার আউটার রিং রোডে এ ঘটনা ঘটে।

বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মো. ফৌজুল আজিম ভোরের কাগজকে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই পোশাককর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে সারাদিন আমরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার প্রেমিক শফিকুলসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত জোবাইর নামে আরেক যুবক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App