×

খেলা

লক্ষ্য এবার অলিম্পিক: অপু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২০, ০৯:৪৭ পিএম

লক্ষ্য এবার অলিম্পিক: অপু

ইন্তেখাবুল হামিদ অপু

কমনওয়েলথ গেমসে ১৯৯০ সাল থেকে স্বর্ণপদক জয় করে আসছে বাংলাদেশ। এখনো পর্যন্ত কমনওয়েলথ গেমসে ৬টি পদক পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৯৯০ সালে অকল্যান্ড গেমসে একটি ব্রোঞ্জ ও একটি স্বর্ণ জয়ের পর দীর্ঘ এক যুগের একটা বন্ধা সময় গেছে বাংলাদেশের জন্য। ১৯৯৪ সালে ভিক্টোরিয়া কিংবা ১৯৯৮ সালে কুয়ালালামপুর গেমসে আসেনি একটি পদকও। এরপর অবশ্য প্রতিটি কমনওয়েলথেই বাংলাদেশ পদকের তালিকায় ছিল। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টারে আসিফ হোসেন খান স্বর্ণ জেতেন। এরপর ২০০৬ সালে মেলবোর্ন, ২০১০ সালে দিল্লি ও ২০১৪-তে গ্লাসগো গেমসে শুটিংই ছিল আমাদের ভরসা। মেলবোর্নে একটি রুপা ও একটি ব্রোঞ্জের পর দিল্লিতে একটি ব্রোঞ্জ ও গ্লাসগোয় একটি রুপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। গ্লাসগোয় আবদুল্লাহ হেল বাকীই দেশের জন্য রুপা জিতেন। এবার টোকিও এবং প্যারিস অলিম্পিককে টার্গেট করে এগুচ্ছে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশন। ভোরের কাগজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু জানান, সাবেক সভাপতির সঙ্গে আমার দ্বন্দ্বের কারণে অনেক সম্ভাবনা ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। এখন আর অতীত নিয়ে ভাবতে চাই না।

আগামী ৪-৫ বছরের একটা পরিকল্পনা দাঁড় করিয়েছি সহসাই তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেব। এ মুহূর্তে আমরা টোকিও অলিম্পিককে লক্ষ্য করে প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। আমাদের প্রধান লক্ষ প্যারিস অলিম্পিক। আমরা মাস্টার প্লান করেছি। যে কোনো খেলাধুলায় সাফল্য পেতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সাফল্য পেতে হলে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ। আর এ কারণে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা দরকার। ১০ এবং ৫০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টের সঙ্গে আরো ইভেন্ট বাড়াতে পারলে পদকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আগে পাবলিক কোম্পানিগুলো স্পন্সরে এগিয়ে এলেও এখন করোনার কারণে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। অলিম্পিকের মতো বৃহৎ আসরে পদক পেতে হলে উঁচুমানের বিদেশি কোচের দরকার। কোচ সম্পর্কে ভোরের কাগজকে ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বলেন, সাফল্যের জন্য কোচের বিকল্প নেই। অলিম্পিকের মতো বড় আসরে সাফল্য পেতে আমরা রাইফেলের জন্য ইউরোপীয় কোচ এবং পিস্তল ইভেন্টের জন্য কোরিয়ান কোচ খুঁজছি। করোনার কারণে মাতৃভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না কেউ। দেশি কোচদের নিয়ে অলিম্পিক ক্যাম্পের অনুশীলন চলছে। গত ১নভেম্বর ৮ জন শুটার ক্যাম্পে যোগ দিয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন রাইফেল এবং ২ জন পিস্তল ইভেন্টে। শুটারদের অস্ত্র ব্যবহার-সংক্রান্ত যে সমস্যা হয়েছিল। সেই ঝামেলা সম্পর্কে তিনি বলেন, সেই ঝামেলা খুব দ্রুতই কেটে যাবে বলে আশা করছি। আমরা এনবিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কাস্টমসের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা খুবই পজেটিভ। ডকুমেনটেশনের কাজ চলছে। সেটি শেষ হলেই হয়তো রিলিজ দিয়ে দেবে।

শুটিং মনস্তাত্তিক ব্যাপার। আন্তর্জাতিক মানে যেতে হলে প্রথাগত ধ্যান-ধারণার বাইরে গিয়ে ভাবতে হয়। শুটারদের ফিটনেসে উন্নতি ঘটাতে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী কাজ করছেন বলে ভোরের কাগজকে জানান অপু। টোকিও অলিম্পিককে সামনে রেখে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে কিনা এ সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনার কারণে আমাদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুশীলন করতে হচ্ছে। টুর্নামেন্ট আয়োজন করে কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। সামনে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ে সবাই চিন্তিত।

আগামী দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, টোকিও অলিম্পিক নিকটে। আমাদের ভিশন হচ্ছে ২০২৪। প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ কিংবা ২০২৫ এ অনুষ্ঠিত হবে। টোকিও অলিম্পিক যেহেতু ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্যারিস অলিম্পিক সে ক্ষেত্রে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমরা পরবর্তী অলিম্পিককে প্রাধান্য দিচ্ছি। কমনওয়েলথ গেমস বড় প্রতিযোগিতা, সন্দেহ নেই। কিন্তু এশিয়ান গেমস অনেক কঠিন। এখানে পদক জেতা মানে অলিম্পিকেই পদক জেতা। এশিয়াডে আমাদের শুটারদের লড়তে হয় চীন, জাপান, কোরিয়ার প্রতিযোগীদের সঙ্গে। এরাই অলিম্পিক মাতায়। আমরা আমাদের শুটারদের সে মানে নিয়ে যেতে কাজ শুরু করেছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App