×

সারাদেশ

চেয়ারম্যানের ৩য় বিয়ের থাবায় ৯ম শ্রেণির ছাত্রী!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২০, ০৫:৪৯ পিএম

চেয়ারম্যানের ৩য় বিয়ের থাবায় ৯ম শ্রেণির ছাত্রী!

বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকার ও নববধূ কিশোরী বন্নি আক্তার

ঢাকঢোল পিটিয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ওই চেয়ারম্যানের এটি তৃতীয় বিয়ে বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। খোদ চেয়ারম্যানের  বাল্য বিয়ের মত বেআইনি কর্মকাণ্ডে এলাকা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। সরকার বাল্যবিয়ে বন্ধে কঠোর ভূমিকা পালন করলেও একজন ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে বর সেজে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাল্য বিয়ে করায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দোলন গ্রামের হতদরিদ্র প্রতিবন্ধি বাচ্চু মিয়ার ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া বকসীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বন্নি আক্তারের (১৪) উপর লুলুপদৃষ্টি পড়ে বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের। এরপর ৪৯ বছর বয়সী চেয়ারম্যান ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ফুসলিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন, এমন কি মেয়েটির অসহায় প্রতিবন্ধী বাবাকে আর্থিক সহায়তার প্রলোভন দেখাতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে গত রবিবার রাতে চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীর পরিবারকে রাজি করিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বর সেজে গিয়ে ওই নবম শ্রেণির কিশোরীকে বিয়ে করে আনেন। ব্যক্তিগত জীবনে ওই ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের এক স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়াও তিনি আরো একটি বিয়ে করেছিলেন তবে সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এদিকে সোমবার চেয়ারম্যান আবু তালেবের তৃতীয় বিয়ের বর ও বধু বেশে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে গোটা ইউনিয়ন জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে, দীর্ঘদিন বাল্যবিয়ে বিরোধী বক্তব্য দিয়ে বেড়ানো ওই ইউপি চেয়ারম্যান নিজে প্রকাশ্যে বাল্যবিয়ে করলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন আইনী পদক্ষেপ না নেয়ায় সচেতন মহলে খোদ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বকসীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুজ্জামান বলেন, ওই শিক্ষার্থী আমার স্কুলের মানবিক বিভাগের ৯ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের সাথে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু বাল্য বিবাহ হয়ে গেছে, সেখানে মোবাইলকোট করার সুযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App