×

সারাদেশ

প্রেমিককে ডেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২০, ০৭:০৩ পিএম

প্রেমিককে ডেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

নির্যাতিত ফয়সল

প্রেমিককে ডেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
প্রেমিককে ডেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় লামাতাশি ইউনিয়নের দ্বিমুড়া গ্রামে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ফয়সল (২২) নামের এক প্রেমিক। প্রেমিকার বাড়ির লোকজন তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পা বেঁধে গণপিটুনি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩১ অক্টোবর রাতে দ্বিমুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ফয়সল চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাসারগাও গ্রামের আহসান উল্লার ছেলে। সে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।

ফয়সলের পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে , ফয়সলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দ্বিমুড়া এলাকার কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইয়ের কন্যা লিজার সাথে । ফয়সল ও লিজা একই কলেজে পড়ে। কলেজে যাওয়া আসার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক তার মাকে জানায় এবং লিজা তার মাকে ম্যানেজ করে ফয়সলকে পরিচয় করিয়ে দেয়। কিন্তু ফয়সল আর্থিক অবস্থা দুর্বল হওয়ায় লিজার পিতা ও আত্মীয় স্বজন মেনে নিতে পারেনি ফয়সলকে। তাদের বিষয় নিয়ে লিজার মায়ের সাথে পিতার মনোমালিন্য হয়।

একপর্যায় মা লিপি বেগম সিদ্ধান্ত নেয় সায়েস্তা করবেন মেয়ের প্রেমিককে। লিজা তার মায়ের পরামর্শে ফয়সলকে নিমন্ত্রণ জানায়। ফয়সল দেখা করতে গেলে চাচাত ভাই এমরানকে সাথে নিয়ে মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাকে হাত-পা বেঁধে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটায়। এক পর্যায়ে তারা খুঁটিতে বেঁধে ডাকাত বলে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ এসে মুচলেকায় পরিবারের জিম্মায় দেন। পরদিন রবিবার (১ নভেম্বর) ফয়সলের মা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ফয়সলের মা বলেন, আমার ছেলের সারা শরীরে জখম আমার ছেলের বুকে ও মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পায় এবং স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে । তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি ফয়সলের মায়ের । এদিকে লিজার পরিবারের দাবি, সে তাদের বাড়িতে লিজার নাম ধরে ডাকাডাকি করছে আবার ছুরি-চাকু নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে আটক করে। তবে নির্যাতনের বিষয় অস্বীকার করেন।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, শুনেছি প্রেম ঘটিত বিষয়। নির্যাতনের ঘটনা আমার জানা নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App