×

জাতীয়

নেতিবাচক রিপোর্টের উচ্চকণ্ঠ গবেষকেরা এখন নীরব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২০, ০৭:৩২ পিএম

নেতিবাচক রিপোর্টের উচ্চকণ্ঠ গবেষকেরা এখন নীরব

ভিডিওকনফারেন্সে তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আইএমএফ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রতিফলনে উপমহাদেশ জুড়ে তোলপাড় প্রশংসা হলেও দেশের যেসব গবেষণা সংস্থা নীরব রয়েছে, ছিটেফোঁটা নেতিবাচক রিপোর্টেই তাদের উচ্চকণ্ঠ হতে দেখা যায়। আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয় থেকে ভিডিওকনফারেন্সে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

খুলনা জেলার ডেপুটি কমিশনার মোহজাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, খুলনা-১ আসনের সাংসদ পঞ্চানন বিশ্বাস ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

ড. হাছান বলেন, আইএমএফ’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ও এশিয়ান ডেভালপমেন্ট ব্যাংক’র প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে বিশ্বের গুটিকতক ভালো প্রবৃদ্ধির দেশের অন্যতম। আইএমএফ বলছে, এ বছরের শেষে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। এই প্রতিবেদন প্রকাশে পুরো উপমহাদেশ প্রশংসায় তোলপাড়। ভারতের সমস্ত গণমাধ্যমে, রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা হচ্ছে। শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও একই ঘটনা। পাকিস্তানে কোনো কোনো টেলিভিশনে আবার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই বলা হচ্ছে ‘আমাদের ভায়েরা এগিয়ে যাচ্ছে’। সব মিলিয়ে ভারত-পাকিস্তানে তোলপাড় পড়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে যারা অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে কাজ করেন, অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের মুখে আমরা কোনো বক্তব্য দেখতে পাই নাই। তবে আইএমএফ কিম্বা এশিয়ান ডিভালপমেন্ট ব্যাংক বা কোনো পত্রিকা যদি ছিটেফোঁটা নেতিবাচক প্রতিবেদনও দিতো, তাহলে দেখতে পেতেন এতদিনে তাদের বক্তব্যে সমস্ত টেলিভিশন ঝালাপালা হয়ে যেতো।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে ইতিবাচক প্রতিবেদন নিয়ে ভারত জুড়ে তোলপাড়, এতে তারা নিশ্চুপ। এতে প্রশ্ন আসে, দেশে ভালো কিছু হলে তারা আদৌ খুশি হন কি না। তারা কি আসলে দেশকে খারাপভাবে, নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার জন্য গবেষণা করে। কোনো ইতিবাচক কোনো প্রতিবেদন হলে তারা নিশ্চুপ থাকে কেন-এটি অনেকেরই প্রশ্ন।

মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর কোনো কিছুই আমরা সমর্থন করি না। অতীতেও এ ধরণের ধর্মীয় আঘাতের প্রতিবাদ করা হয়েছে। কোনো ধর্মের অনুভূতিতেই আঘাত দেয়া কখনই সমীচীন নয়। পাটগ্রামের ঘটনার ব্যাপারেও সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনাও কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। পৈশাচিক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

এর আগে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১ লাখ ২০ হাজার গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নামে বোটানিকেল গার্ডেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ২৫৫ একরের সাড়ে ৩ কিলোমিটার লম্বা ও ১ দশমিক ২ কিলোমিটার চওড়া এই বোটানিক্যাল গার্ডেন খুলনা শহরের পাশে একটি ছোট্ট সুন্দরবন গড়ে তোলারই সমার্থক চমৎকার একটি পরিকল্পনা। এসময় মুজিববর্ষে খুলনায় ১৯ লাখ ২০ হাজার গাছের চারা রোপণের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যেও সংশ্লিষ্টদেরধন্যবাদ জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App