×

জাতীয়

চাকরি রাজস্বকরণের দাবি সিএইচসিপিদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২০, ০৬:১১ পিএম

চাকরি রাজস্বকরণের দাবি সিএইচসিপিদের

সিএইচসিপির সংবাদ সম্মেলন

দীর্ঘ নয় বছর একই বেতনে কাজ করছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে তাদের চাকরি রাজস্ব করণ করা হবে এমন আশ্বাস দেয়া হলেও তা আজো বাস্তবায়িত হয়নি। বেতন বৃদ্ধি ও চাকরি রাজস্ব করণের দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারে (সিবিএইসসি) কর্মরত সিএইচসিপিদের সংগঠন বাংলাদেশ সিএইচসিপি এসোসিয়েশন।

রবিবার এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মো. মাসুদুর রহমান জিলাদার। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতা মো. ফখরুল ইসলাম, মো. সুমন মাদবর, শেখ মহিবুল হাসান, মো. কাইয়ুম হোসেন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারা ২০১১ সাল থেকে কর্মরত আছেন। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানের সব ধরণের কাজ তারা করে যাচ্ছেন। তবে এখনো তাদের চাকরি রাজস্ব করা হয়নি। এমনকি ৯ বছর চাকরি করলেও কোনো ইনক্রিমেন্ট পাননি। নেই কোন ভবিষ্যৎ তহবিলও। সিএইচসিপিরা অসুস্থ হলে চিকিৎসার খরচ বাবদ কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না।

২০১১ সালে সিএইচসিপিদের মাসিক বেতন সর্বসাকুল্যে ৯ হাজার ৩৫০টাকা নির্ধারণ করা হলেও তাদের দেয়া হতো ৮ হাজার ৫০০ টাকা। এর কারণ জানতে চাইলে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান কার্যালয় থেকে বলা হয়, চাকরি স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়ার জন্য বেতন ১৪তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, বেসরকারি উৎস হতে অর্থ সংগ্রহ করে তা কমিউনিটি ক্লিনিকের টেকসই উন্নয়ন ও জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এর প্রতিফলন এখনো হয়নি। আমরা হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলাম সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য আমরা রায় পেয়েছি। কিন্তু এর বাস্তবায়নও এখনো হয়নি। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান প্রদর্শন করি। কমিউনিটি ক্লিনিকে জনবলকে রাজস্ব খাতে রেখে কমিউনিটি ক্লিনিকের আনুষাঙ্গিক বিষয়াবলীকে সরকারের গঠন করার ট্রাস্টে ন্যস্ত করা হোক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App