×

মুক্তচিন্তা

ত্রিকালদর্শী বিপ্লবীর জীবনচরিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২০, ১০:৪৩ পিএম

ত্রিকালদর্শী বিপ্লবীর জীবনচরিত
ব্রিটিশ শাসনামলে জন্ম তার এক সময় বাংলার ‘চিতোর’ বলে খ্যাত মাদারীপুরে, ১৯০১ সালে। ভারত বিখ্যাত এবং ১৯১৬ সালে লক্ষ্ণৌয়ে অনুষ্ঠিত ৩১তম অধিবেশনে নির্বাচিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি অম্বিকাচরণ মজুমদারের ভ্রাতুষ্পুুত্র সতীশ চন্দ্র মজুমদারের পুত্র তিনি, উত্তরাধিকার সূত্রে জমিদার পরিবারের সন্তান। প্রমত্ত আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী জন্মস্থান সেনদিয়া গ্রাম ও তৎকালীন মহকুমা শহর মাদারীপুরে শৈশব ও কৈশোর কেটেছে তার। অগ্নিযুগের বিপ্লবী ফণীভ‚ষণ মজুমদার পারিবারিকভাবেই রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছিলেন। দেশাত্মবোধ ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডে ভরপুর ছিল ত্রিকালদর্শী এই অকুতোভয় বিপ্লবীর জীবন। মাদারীপুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক, বাঁকুড়া কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি এবং কলকাতা বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বিএ পাস করেন। তিনি কলকাতা রিপন কলেজে আইন বিষয় অধ্যয়ন করেন। তাছাড়া কিছুদিনের জন্য তিনি রাজশাহী কলেজে বিএ ক্লাসে পড়াশোনা করেছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯১৯ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মাদারীপুরের আরেক বিখ্যাত বিপ্লবী পূর্ণ চন্দ্র দাসের শিষ্য হিসেবে গুপ্ত সমিতিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে ফণীভ‚ষণ মজুমদারের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সেই যে ঘর ছেড়েছিলেন, আর ঘরে ফেরা হয়নি তার, বাঁধা হয়নি ঘর-সংসার, অকৃতদার থেকেছেন আজীবন। ১৯৮১ সালের ৩১ অক্টোবর আমৃত্যু রাজনীতি, দেশ ও জনগণের সেবায় নিমগ্ন ছিলেন তিনি। একদিকে বিপ্লবী পার্টি ও গুপ্ত সমিতির সদস্য, অন্যদিকে ১৯২৫ সালে মাদারীপুর শান্তি সেনাবাহিনীর সক্রিয় কর্মী হিসেবে যোগদান করেন ফণীভ‚ষণ মজুমদার। ইংরেজ শাসকদের চোখে ধুলা দিতে মূলত এটি ছিল সে সময়ে অন্যান্য বিপ্লবীর মতো তার রাজনৈতিক কৌশল। তবুও রক্ষা হয়নি, ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের দিন কলকাতায় প্রথম যে ২৩ জন বিপ্লবী গ্রেপ্তার হন, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। একটানা ৮ বছর জেল খেটে তিনি ১৯৩৮ সালে কারামুক্তিলাভ করে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নিবিড় সান্নিধ্যে আসেন। সে সময়ে জন্মভ‚মিতে ফিরে তিনি মাদারীপুর স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করেন। অন্যদিকে নেতাজির ডাকে সাড়া দিয়ে কলকাতায় তিনি নেতাজি প্রতিষ্ঠিত ‘বেঙ্গল ফরওয়ার্ড ব্লক’ পত্রিকা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৩৯ সালে ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৫১তম অধিবেশনে ফণীভূষণ মজুমদারের অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতায় বাংলার বিপ্লবীদের সমন্বয় ঘটে এবং তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে গান্ধীজি মনোনীত পট্টভিসি তারামিয়ার বিরুদ্ধে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বিপুল ভোটাধিক্যে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন। গান্ধীজির সঙ্গে মতান্তরের কারণে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে নেতাজি ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় ফণীভ‚ষণ মজুমদার নেতাজির দক্ষিণ হস্ত হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪০ সালে নেতাজির সঙ্গে কলকাতায় হলওয়েল মনুমেন্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারতবর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডামাডোল বেজে ওঠে। তাতে ফণীভ‚ষণ মজুমদার সামনের কাতারে নেতৃত্বদান করেন বটে, কিন্তু ধর্মীয় পরিচয়ে দ্বিজাতিতত্ত্বর ভিত্তিতে বিভাজিত ভারতের স্বাধীনতায় তিনি রাজি ছিলেন না। দ্বিজাতিতত্ত্বর উগ্র ধ্বজাধারীদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৪৬-এর গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এবং নোয়াখালী রায়ট সংঘটিত হলে তিনি অনেকটাই মুষড়ে পড়েন, তবে দমে না গিয়ে সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবে ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হওয়া কলকাতা শহরের নীরবতা ভাঙা, ক্ষতিগ্রস্তদের সেবা-শুশ্রুষা করা এবং সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। হাজার বছরের ভিটে-মাটি থেকে উৎখাত, সম্ভ্রম ও লাখ লাখ মানুষের মৃতদেহের ওপর দিয়ে দ্বিজাতিতত্ত্বর ভিত্তিতে ব্রিটিশদের কাছ থেকে বিভাজিত ভারতের স্বাধীনতা পাওয়া গেল। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী প্রমুখ প্রায় সবাই পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারত চলে যাচ্ছেন। সে সময়ে সহকর্মীরা ফণীভ‚ষণ মজুমদারকেও তাদের সঙ্গী হতে উৎসাহিত করলে তিনি দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন। মাতৃভ‚মি ত্যাগ না করে এখানে থেকেই তিনি নতুনভাবে রাজনীতি এবং জনসেবা করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবন্ধ হন। তিনি বললেন, ‘পাকিস্তান সরকার আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিতে পারে, আমার মৃতদেহ পদ্মায় ভাসিয়ে দিতে পারে, কিন্তু আমার জন্মভ‚মির মাটিকে তো আর ভাসিয়ে দিতে পারবে না।’ কাজেই জন্মভ‚মিতে থেকেই রাজনীতির পাশাপাশি ফণীভ‚ষণ মজুমদার পুরোদস্তুর সমাজসেবা ও জনসেবার কাজ করে চালিয়ে যান। ১৯৪৮ সালে তিনি মাদারীপুর মহকুমা তাঁতি সমবায় সমিতি এবং কিছুদিনের মধ্যে মৃতপ্রায় কংস বণিক সমিতি পুনর্গঠন করেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে সঙ্গত কারণে তিনি ভাষা আন্দোলনের সূচনাপর্বে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এজন্য তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান সরকার ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কারারুদ্ধ করে রাখে। ফণীভ‚ষণ মজুমদারের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এসব কর্মকাণ্ড এবং কারারুদ্ধের কিছুটা বর্ণনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের ১৮৭-১৮৮ পৃষ্ঠায় ফুটে উঠেছে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-গোপালগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে ফণীভ‚ষণ মজুমদার পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ’৭০-এর নির্বাচনে বাঙালিদের নিরঙ্কুশ বিজয় হলেও পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করে। তাতে বঙ্গবন্ধু প্রথমে অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলে ফণীভ‚ষণ মজুমদার বাংলাদেশ ও ভারতে অবস্থানরত তার বিপ্লবী সহকর্মীদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য সংগঠিত করেন। তিনি অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে গমন করেন। তার উদ্যোগে আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তাদানের বিষয়ে ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভারত কর্তৃক সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় তিনি সর্বাধিক ভ‚মিকা পালন এবং ভারত সরকারের দেয়া প্রথম অস্ত্র চালানটি তার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। তিনি মুজিবনগরে স্থাপিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কমিটির সদস্য, দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলিক কাউন্সিলের (যশোর-ফরিদপুর) চেয়ারম্যান এবং ওই সময়ে ভারতে আশ্রিত ১১টি শরণার্থী শিবির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের দুই যুগ পর ফণীভ‚ষণ মজুমদার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ভারতে গমন করেন। কিন্তু এই দুই যুগ পরেও ভারতীয়দের মধ্যে তার পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র ঘাটতি দেখা যায়নি। মূলত নেতাজির ঘনিষ্ঠ ও বিশ^স্ত সহকর্মী এবং ফরোয়ার্ড বøকের নেতা হিসেবে ভারত বিভক্তির পরেও সেখানে ছিল তার বিপুল জনপ্রিয়তা, যা মোক্ষম কাজে লাগিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন আমাদের মুজিবনগর সরকার। সে সময় তিনি মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য না হলেও মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তাকে এমন সব কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যেসব অন্য কারোর পক্ষে করা ততটা সহজ ছিল না, যতটা সহজ ও ফলপ্রসূভাবে ফণীভ‚ষণ মজুমদারের পক্ষে করা সম্ভব ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয়ের পরপরই ফণীভ‚ষণ মজুমদার সরাসসি ঢাকায় চলে আসেন। ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গঠন করেন। তিনি ফণীভ‚ষণ মজুমদারকে খাদ্য এবং বেসামরিক পরিববহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন ফণীভ‚ষণ মজুমদার। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১৯ (রাজৈর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধু-মন্ত্রিসভার খাদ্য ও বেসামরিক পরিববহন মন্ত্রণালয় এবং পরে ভ‚মি প্রশাসন ও ভ‚মি সংস্কার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বলাভ করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী ৮১ দিন মন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও ফণীভ‚ষণ মজুমদারকে খুনিচক্র সার্বক্ষণিক কড়া নজরে রাখে। তবু তিনি মুষড়ে পড়া আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে থাকেন। তার সরকারি বাসভনে এসব নেতাকর্মীকে তিনি নানা কৌশলে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। ’৭৫-এর ৩ নভেম্বর প্রতিক্রিয়াশীল ও খুনিচক্র কর্তৃক জেলখানায় জাতীয় চার নেতার বর্বর হত্যাকাণ্ড, ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীর মুক্তিযুদ্ধ স্বপক্ষীয় বীর সেনানিদের হত্যা ও নানা প্রকার ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার মধ্য দিয়ে হলেও কলঙ্কজনক ওই মন্ত্রিত্বের পরিসমাপ্তি ঘটে। ফণীভ‚ষণ মজুমদারের ওপর সামরিক স্বৈরাচারের নরজদারি, নানা প্রকার হুমকি-ধমকি এবং হয়রানি বেড়ে যায়। তিনি এসব উপেক্ষা করে এবং গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রস্ত, আত্মগোপনে চলে যাওয়া ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। এভাবেই মুজিব-বলয়ের নেতাকর্মীরা দুর্দিনে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল হিসেবে তার ছত্রছায়ায় সংগঠিত হতে থাকেন। ফলে ১৯৭৭ সালে সামরিক-স্বৈরাচার তাকে বিনা অজুহাতে গ্রেপ্তার করে। ব্রিটিশ-ভারত, পাকিস্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশে নানা পর্যায়ে নানা প্রকার ঝুঁকি নিয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক ভুবনে দৃঢ় পদচারণা করেছেন বিপ্লবী কর্মবীর ফণীভ‚ষণ মজুমদার। প্রায় ৩০ বছর তিনি জেল খেটেছেন। জানামতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের আর কোনো রাজনৈতিক নেতা এত বছর জেল খাটেননি। জন্মগতভাবে রাজনৈতিক উত্তরাধিকারসূত্রে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে পরিচিত এক বিখ্যাত এবং জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও তার মধ্যে কখনো কোনো কিছুতেই বাহুল্য বা বিন্দুমাত্র অহমবোধ পরিলক্ষিত হয়নি। বরঞ্চ চলন-বলন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও আচার-ব্যবহারে তিনি ছিলেন একেবারেই সাধারণ এবং অত্যন্ত পরিমার্জিত। আর রীতি-নীতি, সময়ানুবর্তিতা, নিয়মানুবর্তিতা, সততা, কর্মনিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়ণতা, স্বমত ও ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা, কর্মীবাৎসল্য, সাধারণ ও খেটে খাওয়া জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মানবোধ সবকিছুতেই তিনি ছিলেন অনন্য সাধারণ ও সবার অনুকরণীয়। নিরহঙ্কারী, নির্লোভী ও নির্মোহ বিপ্লবী ফণীভ‚ষণ মজুমদারের ৪০তম মহাপ্রয়াণ দিবসে তার প্রতি প্রণতি ও বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী : মুক্তিযোদ্ধা ও প্রযুক্তিবিদ। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App