পেঁয়াজ বীজের দাম বৃদ্ধি, হতাশায় চাষিরা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২০, ০৬:৪৬ পিএম
পেঁয়াজ ক্ষেত। ফাইল ছবি
পেঁয়াজের রাজধানী ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সব কৃষকই কম বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন করে থাকে। উৎকৃষ্ট মানের পেঁয়াজ ও পাট এই উপজেলাতেই উৎপাদন হয়। কিন্তু পেঁয়াজ বীজের দাম বেশি হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন অনেক কৃষকই। এছাড়া বেড়েছে উৎপাদন ব্যয়ও। বছর শেষে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ধার দেনা ও চড়া সুদে টাকা নিয়ে বেশিরভাগ কৃষকই পেঁয়াজ উৎপাদন করে থাকে। মৌসুমে যথাযথ দাম না পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই।
গেল বছর পেঁয়াজের দামের ভেল্কিবাজির কারণে দাম বেশি ছিল পেঁয়াজ বীজের। চলতি মৌসুমের শেষ সময়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও বেড়েছে পেয়াজ বীজের দাম। যথেষ্ট বীজ মজুদ থাকলেও দাম হাকাচ্ছেন অনেক বেশি। গেল মৌসুমে পেঁয়াজ বীজের দাম লালতীর তাহেরপুরি ২৭০০ টাকা থাকলেও বর্তমান দাম ৪৭০০ টাকা, লালতীর কিং ৬৫০০ থেকে ৯০০০ টাকা, দেশি তাহেরপুরি ১০০০ থেকে ৪০০০ টাকা, দেশি সুপার কিং ১২০০ টাকা থেকে চলতি মৌসুমে ৪০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও এর চেয়ে আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবকিছু মিলে প্রতি শতকে পেঁয়াজ চাষ করে যে পরিমাণ পেঁয়াজ পাওয়া যায় উৎপাদন ব্যয় তার চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। চাষাবাদ করে লোকসান হলে আমরা চাষাবাদ করবো না। আমরা চাই, সব কিছুর দাম হাতের নাগালে থাকুক, মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকুক। পেঁয়াজ চাষ করার জন্য আমাদের ভর্তুকি দেওয়া হোক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জীবাংশু দাশ বলেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ মাত্রা রয়েছে। পেঁয়াজ বীজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষের উপর কিছুটা প্রভাব পড়লেও আমরা কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করছি এই ফসলটির উৎপাদন যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে বদ্ধপরিকর।