বরগুনার বহুল আলোচিত শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা হবে আজ মঙ্গলবার। গত ১৪ অক্টোবর বরগুনা জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর সব আসামির পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। সর্বশেষ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিখণ্ডন শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলার ১৪ আসামির মধ্যে বর্তমানে ৮ জন জামিনে ও ৬ জন কারাগারে রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৪ আসামির মধ্যে রিশান ফরাজীসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র, সহযোগিতা এবং আসামিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে ৩০২, ১২০ (বি) ১ ও ২১২ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পরে ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বছরের ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন শিশু আদালত। ১৩ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ এবং দুপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক খণ্ডন শেষে গত ১৪ অক্টোবর রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন আদালত।

অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- মো. রাশেদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আব্দুল্লাহ্ ওরফে রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ্ ওরফে অলি, জয় চন্দ্র সরকার ওরফে চন্দন, মো. নাইম, মো. তানভীর হোসেন, মো. নাজমুল হাসান, মো. রাকিবুল হাসান নিয়ামত, মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ্ ওরফে মহিবুল্লাহ্, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল শিকদার জয়, মো. আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক মামলায় নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসি ও ৪ জনকে খালাস দেয় আদালত। এ ঘটনার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।