ধর্ষণের পর ভুয়া বিয়ে, ধর্ষক-কাজী-স্বাক্ষী গ্রেপ্তার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২০, ০২:২৯ পিএম
ধর্ষক এনায়েত হোসেন মৃধা, কথিত কাজী ও ‘কাবিননামায়’ স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষরদানকারী কাজীর ভাই
ফরিদপুরের সালথায় এক তরুণীকে (১৮) কৌশলে উঠিয়ে নিয়ে টানা ৫ দিন ধর্ষণের পর নিজেকে বাঁচাতে ভুয়া কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে রবিবার (২৫ অক্টোবর) সালথা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন ওই তরুণীর বাবা। এই ঘটনায় ধর্ষক ও ভুয়া কাজীসহ তিনজনকে আটক করেছে সালথা থানা পুলিশ।
এজাহার ও ধর্ষিতার পরিবার সুত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা ওই তরুণীর বাড়ি সালথা উপজেলার রামকান্তুপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। মুঠোফোনে ওই তরুণীর সাথে পরিচয় হয় একই উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের এনায়েত হোসেন মৃধার (৪২)। গত ২ অক্টোবর বিকালে ওই তরুণীকে স্থানীয় বাহিরদিয়া বাজার এলাকা থেকে কৌশলে গাড়িতে উঠিয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় নিয়ে যান এনায়েত। সেখানে বাসা ভাড়া নিয়ে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টানা ৫ দিনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে গত ৮ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়া থেকে সালথার পার্শবর্তী বোয়ালমারী উপজেলায় এসে এক ব্যক্তিকে ভূয়া কাজী ও ওই কাজীর ভাইকে ভুয়া স্বাক্ষী বানিয়ে তরুণীর কাছ থেকে সু-কৌশলে স্বাক্ষর নিয়ে একটি সাজানো কাবিননামা তৈরি করেন এনায়েত। পরে তারা স্বামী-স্ত্রী সেজে বাড়িতে আসেন। বাড়ি আসার পর ওই তরুণীকে তার বাবার বাড়িতে দিয়ে আসে এনায়েতের পরিবার।
সালথা থানার পুলিশের একটি বিষেশ টিম রবিবার সকালে এনায়েতকে বোয়লমারী উপজেলার ময়েনদিয়া বাজার এলাকা থেকে আটক করে। এনায়েতের দেওয়া তথ্য মতে, বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চালিনগর গ্রাম থেকে কথিত কাজী বসিরুল ইসলাম (৪০) ও তার ভাই হোসাইন মোল্লকে (২৭) গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমরা ধর্ষক এনায়েত হোসেন মৃধা, কথিত কাজী ও ‘কাবিননামায়’ স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষরদানকারী কাজীর ভাইকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। কথিত ওই কাবিননামায় স্বাক্ষী হিসেবে আরও দুইজনের নাম রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।