×

শিক্ষা

স্নাতক শেষ না হওয়ায় চাকরির আবেদনে শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০৪:২০ পিএম

মহামারি করোনার প্রকোপে গেল ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। করোনায় কিছুদিন বিভাগগুলোতে অনলাইন ক্লাস হলেও দেড়মাস ধরে তা বন্ধ আছে। অন্যদিকে কিছু বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের রেজাল্ট প্রকাশিত হলেও বাকি ১০টি বিভাগের পরীক্ষা, রেজাল্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারও শিক্ষার্থী বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরির আবেদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভাগগুলোকে সমন্বিত রুটিংয়ের আওতায় এনে পরীক্ষা, ভাইভাতে অংশগ্রহণ করানো যেতে পারে। এছাড়া অনলাইনেও এগুলো নেয়া যেতে পারে বলে দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ ও পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ক্লাস প্রায় সম্পন্ন হলেও এখনও চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়নি। করোনার উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এবং পরীক্ষা শুরু না হওয়ায় দীর্ঘ সেশনজটের কবলে পড়তে যাচ্ছে তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব কিছু সচল। সব সরকারি-বেসরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আমরা অংশ নিতে পারছি না। অংশ নিব বা কি করে? পরীক্ষায় তো শুরু হলো না!

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ৬টি, গণিত বিভাগের ২টি, আল-ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ৪টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৬টি কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও বাকি পরীক্ষাগুলো আটকে আছে।

ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গত বছরের ডিসেম্বরে সম্পন্ন হলেও এখনও রেজাল্ট প্রকাশিত হয়নি। আবার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কিছু ইন্টার্ণশিপ ও মার্কেটিং বিভাগের প্রেজেন্টেশন বাকি থাকায় এ দুই বিভাগেও রেজাল্ট প্রকাশিত হয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন পিএসসি, ব্যাংক জব, জুডিসিয়ারিসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা হারাচ্ছেন তারা। এতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেকাংশে এগিয়ে যাবেন বলেও মনে করছেন তারা।

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী অপূর্ব শামীম বলেন, আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো হলে আমরা উপকৃত হতাম। বিভিন্ন চাকরির সার্কুলার দেয়া হচ্ছে, আমরা আবেদন করতে পারছি না। তাই যেভাবে হোক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।

উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ডিন ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু পুরো বিষয়টি ইউজিসির এখতিয়ারাধীন, তাই পূজার ছুটি শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আমরা ইউজিসিকে জানাবো। পরে তাদের পরামর্শ মোতাবেক দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষাগুলো নিব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App