বনানীর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২০, ০১:০৪ পিএম
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।
ব্যারিস্টার রফিকের কফিন।
ব্যারিস্টার রফিকুলের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টার দিকে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।
তৃতীয় ও শেষ নামাজে জানাজা শেষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে বনানী কবরস্থানে তার স্ত্রী ডা. ফরিদা হকের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলবৃন্দ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসসহ সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীরা।
এরআগে শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেন।
জানা যায়, রক্ত শূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেখা দেয়। তিনি ডাক্তার রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
দেশের প্রথিতযশা আইনজীবী এবং আদ-দ্বীন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থবোধ করলে গত ১৭ অক্টোবর সকালে পল্টনের বাসায় ফিরে যান তিনি। তবে ওই দিনই দুপুরের পর তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার পর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১৯ অক্টোবর তাঁর করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন থেকে অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল এই প্রবীণ আইনজীবীর।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন।