পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর শনিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পর্যায়ক্রমে লাশ উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা। পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের জন্য নিহতদের লাশ কোড়ালীয়া লঞ্চঘাটে রাখা হয়।

যাদের লাশ উদ্ধার করা হয় তারা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইন গ্রামের মৃত রহমানের হকের ছেলে রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মহিবুল হক (৫৭), পটুয়াখালী সদরের আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুল সালাম হাওলাদারের ছেলে বাহেরচর শাখা কৃষি ব্যাংকের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), বাউফল উপজেলার আজিজ সিকদারের ছেলে আশা ব্যাংকের খালগোড়া শাখার লোন অফিসার কবির হোসেন (৩১), পটুয়াখালী সদরের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের ছেলে এলজিইডির রাস্তার কাজে আসা শ্রমিক হাসান মিয়া (৩০) ও বাউফল উপজেলার জয়গোড়া গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে ইমরান (৩২)।

[caption id="attachment_248656" align="aligncenter" width="700"] স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধার হওয়া লাশ । ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

স্থানীয়রা জানায়, গেল বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুনমুখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুর্ঘটনাকালে নদী বন্দরে ২নং ও সমুদ্র বন্দরে ৩নং সতর্ক সংকেত জারি ছিল। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার মধ্যে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামের স্পিডবোটটি কোড়ালীয়া থেকে পানপট্টির উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। মাঝপথে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোট উল্টে গেলে যাত্রীরা নদীতে পড়ে যায়।

এসময় সাঁতার কেটে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চালকসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধার হয়। বাকি ৫ জন নিখোঁজ রয়ে যায়। পরে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালালেও ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর আগুনমুখা নদীর কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। একজনের লাশ কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। বাকি ৪ জনের লাশ স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

[caption id="attachment_248657" align="aligncenter" width="700"] উদ্ধার হওয়া মরদেহের জানাজার জন্য প্রস্তুতি। ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্পিডবোট চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।