×

জাতীয়

দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেও ভোতা অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যুর প্রমাণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৩৭ এএম

রায়হান হত্যার জেরে এসএমপি কমিশনার বদলি

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্মম নির্যাতনে নিহত রায়হানের শরীরে ভোতা অস্ত্রের আঘাতই বেশি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. মো. শামসুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়হানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পিবিআই প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তরের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেও প্রথম প্রতিবেদনের সামঞ্জস্য পেয়েছে ফরেনসিক মেডিকেল বোর্ড। ভোতা অস্ত্রের আঘাতেই তার শরীরে বেশি জখম হয়েছে এবং অতিরিক্ত আঘাতই রায়হানের মৃত্যুর কারণ। এর আগে গত ১১ অক্টোবরের প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মুহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা কেবল নিয়ম ফলো করার জন্য ময়নাতদন্ত করিয়েছি। ভিসেরা রিপোর্ট এলে আরো বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরো জানান, মামলায় নতুন করে অনেকের নাম এলেও আর কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

এদিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার গোলাম কিবরিয়াকে স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) উপমহাপরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর এসপিবিএনের উপমহাপরিদর্শক নিশারুল আরিফ তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়।

সিলেটে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় এসএমপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। রায়হান হত্যাকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার না করা এবং প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবরের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন এসএমপির কমিশনার গোলাম কিবরিয়া। উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। এ মামলায় ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। তবে মূল অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া পালিয়ে গেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App