×

সারাদেশ

হালদায় নির্বিচারে ডলফিন হত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২০, ০৬:২৭ পিএম

হালদায় নির্বিচারে ডলফিন হত্যা

কাতল মাছ

হালদায় নির্বিচারে ডলফিন হত্যা

ছবি: ভোরের কাগজ

হালদায় নির্বিচারে ডলফিন হত্যা

হালদায় ডলফিন হত্যা। ফাইল ছবি।

শিকারীদের হাতে প্রাণ গেল ৯ কেজি ওজনের কাতলের

হালদা নদীতে মাছ শিকার নিষিদ্ধ হলেও অসাধু চোরাই শিকারিরা সেসবের কোন তোয়াক্কা করছে না। তাঁরা যে শুধু মাছই শিকার করছে তা কিন্তু নয়। সেই সঙ্গে নিরীহ ডলফিনকেও নির্বিচারে হত্যা করছে। হালদা নদীর মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নানা প্রকল্প নেয়া হলেও সেগুলোকে যেনো বৃদ্ধাঙ্গুলিই দেখিয়ে যাচ্ছে এই চক্রটি। নদীতে বিভিন্ন সময়েই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে। ওই সময় অবৈধ বালু উত্তোলনকারী, ড্রেজার, কারেন্ট জাল আটক করা হচ্ছে।

[caption id="attachment_248168" align="aligncenter" width="700"] কাতল মাছ[/caption]

কিন্তু এসবের মধ্যেও চলছে অবৈধভাবে মাছ ও ডলফিন শিকার। বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালেও হালদা নদীর কেরামতলির বাঁক এলাকায় প্রায় ৯ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মাছটির দৈর্ঘ্য ৩৪ সেমি, বয়স প্রায় ৫ বছরের বেশি। মাছটির দেহের নীচের দিকে (ভেনট্রাল সাইট) একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন হালদা গবেষক চবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া।

তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, মাছটিকে শিকার করার জন্য কোন ধারালো শিকার যন্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল অথবা শিকারিদের জালে আটক হওয়ার পর সেটিকে আঘাত করা হয়েছিল। কিন্তু কোন কারণে হয়তো মাছটিকে আটকে রাখতে পারেনি শিকারিরা। কিন্তু মাছটি চোরাই লোভী শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা পেলেও ওই আঘাতের কারণে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায়নি। কাতল মাছটি মারা যাওয়ার পর পঁচে ভেসে ওঠে। স্থানীয় জেলেরা দেখে এটিকে পাড়ে নিয়ে আসেন। প্রশাসনকে খবর দেন। মাছটিকে পাড়ে এনে মাট চাপা দেয়া হয় বলেও জানান অধ্যাপক কিবরিয়া।

[caption id="attachment_248173" align="aligncenter" width="700"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

তিন বছরে হালদা নদীর বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২৭টি ডলফিনকে মেরে ফেলেছে কিছু অসাধু লোক। তারা এসব ডলফিনকে মেরে বিশেষ কায়দায় ধারালো ছুরি দিয়ে ডলফিনের চর্বি সংগ্রহ করে আবার নদীতে ফেলে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় এসব নিরীহ ডলফিন রক্ষা করাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হাটহাজারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৎস্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় জনগনের সহায়তায় প্রায়ই অভিযান চালান। মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, চবি প্রাণীবিদ্যা বিভাগ, স্থানীয় এনজিও প্রতিনিধিরাও হালদার মাছ, ডলফিনসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয়দেরকে সচেতন করার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তাতে খুব একটা সফলতা আসছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা ছাড়া শুধু শাস্তি দিয়েও সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App