×

সারাদেশ

বাড়ির চারপাশে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মাদক ব্যবসা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২০, ০৫:১২ পিএম

বাড়ির চারপাশে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মাদক ব্যবসা

মো. ইকবাল হোসেন প্রকাশ

মাদকসহ নানা ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলেও জামিনে বের হয়ে ফের একই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হন মো. ইকবাল হোসেন প্রকাশ ডাইল ইকবাল (৪৯)। পুলিশের তালিকায় মাদকের গডফাদার হিসেবে নাম থাকা ডাইল ইকবালের বিরুদ্ধে রয়েছে বেশ কয়েকটি মামলা। ২২ বছরে ৩০ বার গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যান ইকবাল।

পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে তার আলিশান বাড়ির চারপাশে লাগিয়েছেন সিসিটিভি ক্যামেরা। ভবনের তৃতীয় জানালার গ্রিল কেটে তৈরি করেছেন পালানোর বিশেষ পথ। পুলিশ অভিযানে গেলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় তা ধরা পড়তো। সেটা দেখে পালিয়ে যেত ইয়াবা ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন। এভাবে বিভিন্ন সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে পারলেও অবশেষে তাকে ধরা পড়তে হয়েছে।

নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন এসি দত্ত লেনের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫০ পিস ইয়াবা। বুধবার (২১ অক্টোবর) ইকবালকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ডাইল ইকবাল কোতোয়ালী থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন। ১৯৯১ সালে রাশিয়ার মস্কোতে চাকরি নিয়ে যান ইকবাল। ৯৮ সালে দেশে ফিরে প্রথমে পাথরঘাটার সতীশ বাবু লেনে একটি ওয়ার্কশপ চালু করেন। একপর্যায়ে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন ফেনসিডিল ব্যবসা। এখন ইকবাল পুরোদস্তুর ইয়াবা ব্যবসায়ী। ২২ বছরে ৩০ বার গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন ইকবাল। কিন্তু জামিনে বের হয়ে আবারো ইয়াবা ব্যবসা চালু রাখেন তিনি।

ওসি মহসীন বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী ইকবালকে আমরা আগেও কয়েকবার গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছি। কিন্তু বারবারই সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তারের পর তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে বারবার পালাতে সক্ষম হওয়ার রহস্য উদঘাটন করেছি। বাড়ির আশপাশে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। এর মাধ্যমে বাড়ির আশপাশে লোকজনের আনাগোনা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে সে তিনতলায় বাসার ভেতর দিয়ে একটি গোপন কক্ষের গ্রিল কাটা জানালা দিয়ে পালিয়ে যেত। ইকবালের বিরুদ্ধে মাদক আইনে নগরীর বিভিন্ন থানায় আরও ছয়টি মামলা আছে।

ওসি মহসিন আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল স্বীকার করেছেন তিনি ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও গাজা নগরীর বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করে তার নির্দিষ্ট কাস্টমারদের সরবরাহ করেন। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App