×

জাতীয়

নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার, দায় এড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২০, ০৮:২৮ পিএম

নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার, দায় এড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

ফাইল ছবি

দেশজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিনই নাগালের বাইরে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ দব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ নিলেও তার প্রভাব বাজারে খুব একটা পড়ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, তেল, আটা, পেঁয়াজ, ডিম, সবজির দাম তো বাড়ছেই, ছাড় দেননি শিশুদের গুঁড়োদুধেও। চাল, আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু কোথাও সেই দামে পণ্যগুলো বিক্রি হচ্ছে না। নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে দেশের বাজার ব্যবস্থা। এদিকে এক মন্ত্রণালয় আরেক মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আটা-চালের বাজার দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। এ কাজ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আমাদের হাতে বাজার নিয়ন্ত্রণের সংস্থা নেই। এ ধরনের সংস্থা আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। আবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত চিঠি দিয়ে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানানো হলেও পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দর নির্ধারণ করে দেওয়ার এখতিয়ার বাংলাদেশ কৃষি বিপণন অধিদফতরের। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাটি সে কাজ করে দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা দেখার ক্ষমতা নেই তাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমান ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায় না। মাছের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি। মাংসের বাজারেও স্বস্তিতে নেই ক্রেতারা। শুধু সবজি নয়, বাজারে এখন ভোগ্যপণ্য ডাল, ডিম, তেল, গরুর মাংস, মুরগির মাংস ও আদার দাম চড়া। বাজার যেন নিয়ন্ত্রণহীন, দেখার কেউ নেই। সরকারের ঠিক করা দাম আমলেই নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। বিক্রি করছেন খেয়ালখুশি মতো। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও লাভ হচ্ছে না। একদিকে করোনার থাবায় আয় কমেছে মানুষের। ফলে বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিলো দ্রব্যমূল্য।

কৃষি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় সবজির বাজার চড়া। তার ওপর মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণহীন বাণিজ্যের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির মূল্য যেন আকাশ ছুঁয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেয়াঁজের দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি। আলু এখনও ৫০-৫৫ টাকা। ভালো মানের মিনিকেট চাল ৬০-৬২, মাঝারি মানের মিনিকেট ৫০-৫২ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা লিটারে। গুঁড়োদুধের দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫-৩০ টাকা। ৮০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া মুশকিল। কাঁচামরিচের কেজি এখনও ২৫০-৩০০ টাকা। কেজিতে মসুর ডালের দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কৃষকের কাছ থেকে সবজি কেনার পর খরচ-খরচা বাদ দিয়ে সামান্য মুনাফায় যৌক্তিক মূল্যে আড়ত থেকে সবজি বিক্রি হওয়ার কথা। আর খুচরা বিক্রেতা খরচ-খরচাসহ সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫% বাড়তি যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ তে সেই নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। এই আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে বাজারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে এমনটিই মত সংশ্লিষ্টদের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App