তামিমদের হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল মাহমুদউল্লাহরা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২০, ১১:২৪ এএম
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে সোমবার রাতে ৩৪ রানে তামিম একাদশের ৪ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠানো রুবেল হোসেনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন সতীর্থরা
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে সোমবার রাতে তামিম একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল মাহমুদউল্লাহ একাদশ। এ জয়ের ফলে ৪ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৪। অন্য দিকে ৩ ম্যাচ থেকে শান্ত একাদশের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। ৩ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট পাওয়া তামিম একাদশ বুধবার শান্ত একাদশকে হারাতে পারলে তাদের পয়েন্ট হবে ৪। তিন দলের পয়েন্ট সমান হলে রান রেটে এগিয়ে থাকা দুই দল শুক্রবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে। সোমবার রাতে তামিম একাদশের ২২১ রানের জবাবে অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহর ৬৭, ইমরুল কায়েসের ৪৯ এবং মাহমুদ হাসান জয়ের ৫৮ রানের নান্দনিক ইনিংসে ভর করে ৪৯.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
এর আগে রুবেল হোসেনের দুর্দান্ত বলে তামিম ইকবাল একাদশের বিপক্ষে সহজ টার্গেট পায় মামুদউল্লাহ একাদশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান তুলেন তামিমরা। রুবেল হোসেন নেন ৪ উইকেট। এ নিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে চার ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করলেন দেশের সবচেয়ে বেশি গতির এই বোলার। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তিনিই। সোমবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই তামিম। সিনিয়র তামিম ৯ রানে এবং জুনিয়র তামিম রুবেলের বলে এক রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর এনামুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩ রান যোগ করে উভয়ই রুবেলের শিকার হন। এমতাবস্থায় চাপে পড়ে তামিম বাহিনী। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সেই চাপ ভালোভাবেই সামাল দেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ১০০ রানের জুটি গড়েন তারা। ৭৩ বলে অর্ধশতক তুলে নেন রাব্বি।
দলীয় ১২৮ রানের মাথায় রাব্বি ৬২ রান করে রান আউট হলে ১১১ রানে পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে। এরপর অঙ্কন ১০৩ বলে অর্ধশতক তুলে নেন। তবে এরপর আর বেশদূর এগোতে পারেনি। ৫২ রান করে রুবেলের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন। মোসাদ্দেক হোসেন ও সাইফউদ্দিন সপ্তম উইকেট জুটিতে আরো ৫০ রান যোগ করেন। মোসাদ্দেক ৪০ রান করে আউট হলে ভেঙে যায় ৭৫ রানের জুটি। সাইফউদ্দিন ৩৮ রানে আউট হলে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২১ রান করে তামিম একাদশ। মাহমুদউল্লাহ একাদশের রুবেল ৪টি, এবাদত হোসেন ২টি ও আবু হায়দার রনি একটি উইকেট নেন।
টুর্নামেন্টে রুবেলের সবচেয়ে ভালো স্পেলটি এই ম্যাচই। ৩৪ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন। উইকেটের দিক থেকে রুবেলের পরেই আছেন তার সতীর্থ ইবাদাত হোসেন। রুবেলের সমানসংখ্যক ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৭ উইকেট। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৬ উইকেট নিয়েছেন নাজমুল একাদশের আল আমিস হোসেন। চারটি করে উইকেট রয়েছে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও সুমন খানের।
রানের দিক থেকে এগিয়ে আছেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ৩ ম্যাচে ১৫৬ রান করেছেন জাতীয় দলের এই খেলোয়াড়। ১২৮ রান নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইরফান শুক্কুর। একশোর বেশি রান রয়েছে আরো দুজনের। তারা হলেন- আফিফ হোসেন এবং মেহেদী হাসান।