×

খেলা

মালিক ঝলকে চ্যাম্পিয়ন পাখতুনখাওয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২০, ১০:১৭ পিএম

মালিক ঝলকে চ্যাম্পিয়ন পাখতুনখাওয়া

মালিক ঝলকে চ্যাম্পিয়ন পাখতুনখাওয়া

পাকিস্তান ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের এবারের আসরের শিরোপা জিতেছে শোয়েব মালিকের দল খাইবার পাখতুনখাওয়া। ফাইনালে তারা ১০ রানে হারিয়েছে সাউদার্ন পাঞ্জাবকে। ২০ ওভারে খাইবারের ৪ উইকেটে ২০৬ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করতে সক্ষম হয় পাঞ্জাব। এ ম্যাচে ২২ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩৮ বছর বয়সি শোয়েব মালিক।

শোয়েব মালিক পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা একজন ক্রিকেটার। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরমেটে জাতীয় দলের হয়ে তারই সবচেয়ে বেশি রান। তরুণ বয়সের মতো খেলছেন এই বয়সে এসেও। পাঞ্জাবের বিপক্ষে তার দল পরশু টস হেরে ব্যাট করতে নামে। দুই ওপেনারের মধ্য ফখর জামান খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস। রিজওয়ান করেন ২৫ রান। হাফিজের ৩৮ রানের পরই ঝড় তোলেন শোয়েব। বড় স্কোরের জন্য ২২ বলে তিনি খেলেন ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। ফলে খাইবার ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তুলে স্কোরবোর্ডে। পাঞ্জাবের হয়ে আমির ইয়ামিন, জাহিদ মাহমুদ ও মোহাম্মদ ইমরান।

জবাব দিতে নেমে শান মাসুদ, জিসান আশরাফ এবং শোয়েব মাকসুদরা খুব দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর হুসাইন তালাত এবং খুশদিল শাহ মিলে দারুণ জুটি গড়েন। ১০৮ রানের মাথায় গিয়ে ভাঙে এই জুটি। ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন হুসাইন তালাত, ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ২৪ বলে ৩৪ রান করেন খুশদিল শাহ। শেষ মুহূর্তে ১৩ বলে ৩৮ রানের ঝড় তোলেন মোহাম্মদ ইমরান। কিন্তু তার এই ঝড়ও পরাজয় বাঁচাতে পারেনি। ৮ উইকেটে ১৯৬ রানে থেমে যায় সাউদার্ন পাঞ্জাবের ইনিংস। খাইবারের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন ৩ উইকেট। আরেক অভিজ্ঞ পেসার ওয়াহাব রিয়াজও নেন ৩ উইকেট। দুজনই ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৬ রান করে। ১টি করে উইকেট নেন উসমান সিনওয়ারি এবং আসিফ আফ্রিদি।

টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন পাখতুনখাওয়ার ফখর জামান। ১২ ম্যাচে ৪২০ রান করেছেন তিনি। তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৬৮। চারশোর বেশি রান করেছেন সিন্ধের খুরাম মানজুরও। বল হাতে সবচেয়ে বেশি সফল চ্যাম্পিয়ন দলের শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১০ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়েছেন ২০ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। হারিস রউফ পেয়েছেন ১৮টি উইকেট। উইকেটরক্ষক হিসেবে সবার সেরা মধ্য পাঞ্জাবের কামরান আকমল। ১০ ম্যাচে ১১টি ডিসমিসাল পেয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এর মধ্য ৮টি ক্যাচ ও ৩টি স্টাম্পিং। টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি হয়েছে ৩টি। এগুলো এসেছে খুরাম মানজুর, আবদুল্লাহ শফিক ও খুশদিল শাহর ব্যাট থেকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App