×

জাতীয়

দুই নারীর অসহায়ত্বের সুযোগে জাল টাকার কারবারে হুমায়ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২০, ০৬:৫৭ পিএম

দুই নারীর অসহায়ত্বের সুযোগে জাল টাকার কারবারে হুমায়ন

ফাইল ছবি

গ্রেপ্তার দুই নারী সুখী আক্তার (৩০) ও তাসলিমা আক্তারের (৩০) অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের জাল টাকার কারবারে জড়ান গ্রেপ্তার মো. হুমায়ন কবীর (৪৫)। সাধারণ জনগণ টাকার যেসব নিরাপত্তা বৈশিষ্টগুলো মূলত লক্ষ্য করে থাকে তা অতি সুক্ষ্মভাবে তৈরী করতে সমর্থ এ চক্রের সদসস্যরা। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের লোককেই টার্গেট করে জাল টাকার ব্যবসা করে আসছিল এ চক্রটি। এ চক্রের মূলহোতা হুমায়ুন কবীর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৬বার গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও জামিনে বের হয়ে আবারো জাল টাকার কারবারে জড়িয়ে পরেন। আর গ্রেপ্তার মো. জামাল (৪২) তৈরীকৃত জাল টাকার ডিলার হিসেবে কাজ করতেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরী চক্রের দুই নারী সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী কমিশনার মহিউদ্দীন আহমেদ। সোমবারই আদালতে তাদের হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ডিবি গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমানের সার্বিক নির্দেশনায় মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় গত রবিবার অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় সেখান থেকে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার জাল টাকা ও তা তৈরীর অন্যান্য সরঞ্জামাদী উদ্ধার করা হয়। যা দিয়ে প্রায় ৫ কোটি জাল টাকা তৈরি করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার নারী সুখি আক্তার পোশাক কারাখানায় কাজ করতেন। পরে অসুস্থ হয়ে তার চাকরি চলে যায়। সুখির মায়ের পূর্বপরিচিত ছিলেন হুমায়ুন। টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম হলে এর সুযোগ নেয় হুমায়ুন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সুখি সুস্থ হলে তাকে জালটাকার কারবারে জড়ানো হয়। তাসলিমার স্বামী জেলে যাওয়ার তার ও সন্তানের দ্বায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানা স্বজনরা। সন্তানের লেখা-পড়াসহ ভরণ-পোষণের দ্বায়িত্ব নেন হুমায়ুন। এক সময় তাসলিমাকেও জাল টাকার কারবারে জড়ায় তিনি।

ডিবি গুলশানের সহকারী কমিশনার মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সাধারণ জনগণ জাল টাকা শনাক্তের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সূতা, রং, টাকার গায়ের অক্ষরের খসখসা ভাব ও অসমান্তরাল থাকার যে বিষয়গুলো খেয়াল করে থাকে তা অতি সুক্ষ্মভাবে তৈরী করতে পারে এ চক্রটি। তবে টাকার নাম্বার গুলো নকল করা সম্ভব হয়না। এরা সাধারণত এসব টাকা কেনা-কাটার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তার বিষয় পরীক্ষা করে আসল ভেবে লেন-দেন করে বসে। এর ফলে কেনা-কাটা শেষে পন্য প্রাপ্তির পাপাশি মূল্যের অতিরিক্ত আসল টাকা ফেরৎ পেয়ে লাভবান হচ্ছে এ প্রতারকরা। আসন্ন দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করেও জাল টাকা বাজারে ছাড়ার জন্য কাজ করছিল চক্রটি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App