×

সারাদেশ

মানবতার ফেরিওয়ালা মিঠাপুকুরের মুরাদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০৩:৫৬ পিএম

মানবতার ফেরিওয়ালা মিঠাপুকুরের মুরাদ

সামাজিক কর্মকাণ্ডে মুরাদ

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার সূর্য সন্তান মানবতার ফেরিওয়ালা ‘আমার মা ফাউন্ডেশন’ এর যুব বিষয়ক সম্পাদক মুরাদ খান। তিনি ‘ওয়ার্ল্ড চিলড্রেন ফোরাম’ এর কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সেখানে তিনি শেখ রাসেল হল ডিবেটিং সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং একজন বিতার্কিক।

তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় কানদাশপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এরপর শঠীবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি জানান, সংগঠনের প্রতি তার আগ্রহটা শুরু হয় হাই স্কুল জীবন থেকে। সংগঠনের পথচলাটা শুরু করেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ‘শিশু ফোরাম’ এর মধ্য দিয়ে। তারপর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে শিশুদেরকে নিয়ে বিভিন্ন এক্টিভিটিসে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’ এর শিশু ফোরামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তখন থেকেই শিশু সাংবাদিকতায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন এবং পরবর্তীতে তিনি এনসিটিএফ (ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স) রংপুর জেলার হয়ে ২ বছর কাজ করেছেন।

জেলায় থাকাকালীন তিনি জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বেশ কয়েকটি সনদপত্র অর্জন করেন। এছাড়াও তার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধেও রয়েছে অসাধারণ ভূমিকা। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলায় থাকাকালীন সময়ে ১২টি বাল্য বিবাহ রোধ করতে সক্ষম হয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের একটি প্রেস কনফারেন্সে তার নামটি উল্লিখিত হয়েছিল এবং এই কাজের জন্য নিউজিল্যান্ডের কান্ট্রি পোর্টফিলো অফিসার মি. ড্যানমোটংগা মুরাদ খানকে প্রশংসিত করেছিলেন।

কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে রেডিও ৯২.৪ সহ বিভিন্ন মিডিয়াতে তিনি শিশুদের নিয়ে কথা বলেছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি মন্ত্রীর সাথে প্রথম আলোতে গোল টেবিল বৈঠক করেছেন। স্কুল এবং কলেজ জীবনেও তিনি সেরা বিতার্কিক ।

তার বয়স যখন ১৮ তখন তিনি মিঠাপুকুর কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করে যুব-প্রতিনিধি হিসেবে ‘ডিভিশনাল চাইল্ড প্রোটেকশন নেটওয়ার্ক’ এর সাথে যুক্ত হন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সেখানের প্রায় ২০টি সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে সেখানের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং সেই সাথে সাংবাদিকতাও করছেন।

এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ড এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিও থেকে তাদের সাথে কথা বলে তিনি হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন দুর্যোগের সময়ে এবং যেকোনো খারাপ পরিস্থিতে এলাকার মানুষকে একত্রিত করে সেবা (শীতবস্ত্র, ঈদবস্ত্র বিতরণ)সহ অনেক সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।

করোনার এই সংকটকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় তিনি ‘করোনায় সেচ্ছাসেবী’ নামক এক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। মিঠাপুকুর উপজেলায় মুরাদ খানের নেতৃত্বে ১৭টি ইউনিয়ন থেকে ১৭ জন সমন্বয়কের টিম নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছেন। এই সংকটকালে তারা প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষদের কাছে সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণসহ সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান এবং হাট বাজার পরিদর্শন, মাস্ক বিতরণ এসব কাজ এখনও চলমান রয়েছে। মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে বড় বড় মসজিদগুলোর প্রবেশদ্বারে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাদের তাপমাত্রা শনাক্তকরণ চলছে।

মুরাদ খান জানিয়েছেন তার এসব কাজে অনুপ্রেরণা জোগান দিয়েছেন মূলত মুরাদের বাবা এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, মিঠাপুকুর এপির সাবেক ম্যানেজার জোসেফ মিনজ। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে মুরাদ খান জানিয়েছেন আমি আমার কর্তব্যবোধ থেকেই সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং নিভৃতে নিরলসভাবে অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের পাশে থাকবো, যতদিন বেঁচে থাকবো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App