×

সারাদেশ

কৃষি কর্মকর্তা মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০৭:১৫ পিএম

কৃষি কর্মকর্তা মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

কৃষি কর্মকর্তা মিজান মাহমুদ। ছবি: প্রতিনিধি

খুলনার কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজান মাহমুদের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ফাটিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কয়রা উপজেলা সার ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল হাসান গাজী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি কৃষি অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত জানাজানি হয়েছে।

বিভিন্ন মৌসুম ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন বাবদ বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ, উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও খুচরা সার বিক্রেতাদের নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া, অধীনস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ অসংখ্য অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। গত চার বছরে উপজেলা কৃষি অফিসকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন।

সম্প্রতি তিনি মামলার ভয় দেখিয়ে মেসার্স রমজান ট্রেডার্সের মালিক বিসিআইসি সার ডিলার আবুল হাসান গাজীর নিকট থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। বিভিন্ন অভিযোগে আমাদি ইউনিয়নের তিনজন খুচরা সার বিক্রেতার নিকট থেকে ২৭ হাজার টাকা ও বাগালী ইউনিয়নে চারজনের নিকট থেকে ২৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এভাবে উপজেলা আমাদী, মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার ও সাব ডিলারদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এই টাকা নিয়েছেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরে উপজেলা বিসিআইসি সার ডিলারদের পক্ষ থেকে ১৫ অক্টোবর দুপুরে কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের খুচরা সার ব্যবসায়ী বিধান চন্দ্র মন্ডল বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেখা করতে বলেছিল, কিন্তু বিশেষ কারণে দেখা করতে না পারায় আমার সার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, এতে করে এলাকার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এর আগে কৃষি কর্মকর্তা মিজান মাহমুদ পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় থাকাকালীন সময়ে ৩০ শতাংশ ভর্তুকিতে পাওয়ার টিলার গ্রহীতাগণের নিকট থেকে অর্থ-বাণিজ্যসহ সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেখানকার সরকারদলীয় সাংসদ জগলুল হায়দারের সুপারিশে জরুরি ভিত্তিতে তাকে বদলি করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম মিজান মাহমুদ বলেন, আমি মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার এবং বিসিআইসি ডিলারদের অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App