ওয়াসার ৯০ ভাগ পানি বিশুদ্ধ দাবি এমডি তাকসিমের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৪৮ এএম
এমডি তাকসিম
ওয়াসার মাধ্যমে ঢাকা শহরে যে পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে তার ৯০ শতাংশ পানি বিশুদ্ধ বলে দাবি করেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, পাইপের মাধ্যমে সরবরাহের কারণে অনেক সময় পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাসা বাড়িতে রিজার্ভ ট্যাংকি ও ছাদের ট্যাংকেও ময়লা জমে পানি দূষিত হচ্ছে।
শুক্রবার ঢাকা ওয়াসার বুড়িগঙ্গা হলে ‘ঢাকা ওয়াসা’র গত ১০ বছরের অর্জন ও আগামী ৩ বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে একটি জরিপ চালিয়েছে। সেই জরিপে দেখা গেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পানি বাসা বাড়ির ট্যাংকি পরিস্কার না করার কারণে দূষিত হয়েছে বা জীবাণু পাওয়া গেছে। আবার অনেক সময় পাইপ লাইনের মাধ্যমে দূষিত পানি ঢুকে গেছে। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে নানারকম কার্কক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ ভূ-উপরিস্থ পানির উৎস থেকে এবং শতকরা ৩০ ভাগ ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা ওয়াসা কাজ করছে। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসা ২২৫ কোটি লিটার পানি প্রতিদিন সরবরাহ করছে। এর বিপরীতে ২০০ কোটি থেকে ২১০ কোটি পানির চাহিদা রয়েছে। সিস্টেম লসের পরিমাণ ২০ শতাংশ যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা শহরে মাত্র ২০ শতাংশ এলাকার পয়ঃব্যবস্থাপনা ঢাকা ওয়াসা সম্পন্ন করতে পারে। নগরীর পয়ঃশোধনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ওয়াসা মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। সে অনুযায়ী ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে শহরের শতভাগ পয়ঃসেবার আওতায় আনার জন্য ৫টি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে পাগলা পয়ঃশোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প চলমান রয়েছে। দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে।
করোনাকালীন সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার সময় কেউ যখন বের হচ্ছিল না তখনও ঢাকা ওয়াসা ননস্টপ সার্ভিস দিয়ে গেছে। একটি দিন নয় বরং একটি সময়ের জন্যও পানি বন্ধ করা হয়নি। এর বাইরে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতেও যাতে ঢাকা ওয়াসা সফলতার সাথে এগিয়ে যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে। সুপেয় পানি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে ঢাকা ওয়াসা সর্বদা কাজ করে যাবে বলেও জানান তিনি।