×

সারাদেশ

যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে গরম পানি ঢেলে হত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১২:১৭ পিএম

যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে গরম পানি ঢেলে হত্যা

বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে আসছিল স্বামীর পরিবার

যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে গরম পানি ঢেলে হত্যা

চার বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দিতে গরম পানি দিয়ে ঝলসিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বামন্দি পশ্চিমপাড়ায় ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধুর মনিকা নামে ২ বছরের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। তার স্বামী মিলন হোসেন বেসরকারি এনজিও সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে ওই এলাকায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে। নিহত রুবিনা একই উপজেলার ট্যাঙ্গারমাঠ গ্রামের মৃত রবগুল হোসেন মেয়ে। চার বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। এদিকে এ ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকে স্বামী মিলন হোসেন, শাশুড়ি সিফারা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।

রুবিনার মামা আব্দুল জাব্বার অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় মিলন যৌতুক দাবি করতো মেয়ের কাছে। মেয়ের বাবা নেই । নানির বাড়ি থেকে মানুষ। মামারা বিভিন্ন যায়গায় থেকে টাকা ম্যানেজ করে ৪৯ হাজার টাকা মিলনকে দেয়। আবার টাকা চায় জমি কেনার কথা বলে। এই কথা রুবিনা তার নানিকে এসে বলে। তার নানি বলেন ম্যানেজ করে দেব। তারপরে ঘটনার দিন সকালে শুনে হাসপাতালে এসে দেখি মেয়েকে গরম পানি ঢেলে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে মিলন।

রুবিনার নানি হালিমা খাতুন জানান, রুবিনা ছোট থাকতেই তার বাবা-মা দুজনেই মারা যায়। তার পর থেকে তাকে আমি মানুষ করে বড় করি। বছর চারেক আগে সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে মিলন হোসেনের সাথে বিয়ে দিই। বিয়ের পর থেকে মিলনের মা সিফারা খাতুনের কথাশুনে মিলন বিভিন্ন সময় আমাদের সাথে টাকা দাবি করতো। অশান্তির এক পর্যায়ে তারা বামন্দিতে বাসা ভাড়া নিয়ে চলে যায়। সেখানে প্রতি সপ্তাহে মিলনের মা গিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে। মিলনকে ফুঁসলিয়ে শুধু টাকা দাবি করে।

অভিযুক্ত স্বামী মিলন হোসেনসহ তার পরিারের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সৈয়দ কবির জন জানান, হাসপাতালে পৌছানোর আগেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরে কেরোসিন বা পেট্রোলের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গরম পানিতে শরীরে পুরো অংশ ঝলসে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম জানান, এসপি মহোদয়ের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত করি। আমরা চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি গরম পানি ঝলসিয়ে মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে আসল রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App