বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২০, ০৪:৪১ পিএম
চরফাশনে বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে চরফ্যাশন থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ এবং ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, জিন্নাগড় ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের ফজলুর রহমান’র ছেলে মুদি ব্যবসায়ী জামাল পাশের আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ১৮ বছরের ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
জিন্নাগড় ইউনিয়ন ও আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় জামালের মুদি দোকান থেকে কেনাকাটার সূত্র ধরে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে জামালের। ওই তরুণীদের বাড়ির সামনে দিয়ে জামাল আসা যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগী তরুণীর মাছ শিকারী বাবা নদীতে থাকার সুযোগে তাদের বাড়িতে গিয়ে জামাল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই মাস ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলেও মামলার এজহারে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী।
ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১০টায় তরুণীকে তাদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের কথা বলে আবারও ধর্ষণ করে মুদি ব্যবসায়ী জামাল। এসময় তরুণীর ডাক চিৎকারে তার মাসহ প্রতিবেশীরা এলে জামাল কৌশলে পালিয়ে যায়। এঘটনার পরে ওই তরুণী ও তার পরিবার বিয়ের দাবিতে জামালের পরিবারকে বিষয়টি জানালেও তারা গুরুত্ব না দিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় জামালের বাবা ফজলুর রহমান ও তার মা পারভিন বেগমকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দিলে তা রুজু করা হয়।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিয়া জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুদি ব্যবসায়ী জামাল তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ধর্ষণে সহায়তার অপরাধে জামালের মা ও বাবাকে আসামি করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত জামালকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ভুক্তভোগীকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।