বাবলি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৩৫ পিএম
তিনি ছেলে হত্যার বিচার চান কি না এ প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, আমি কি হত্যাকারীর কাছেই আমার ছেলে হত্যার বিচার চাইব? রাষ্ট্রের যা ইচ্ছে করুক, আমি তাদের ক্ষমা করে দিলাম।
পুষ্পকে এক মাস তালাবদ্ধ থাকতে হয়নি। দ্বিতীয় দিনই মা বাবাকে বলেছে, তালাবদ্ধ রাখলে যদি উড়না কিংবা বিছানার চাঁদর ফ্যানে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে তখন কি হবে?
আর তালাবদ্ধ করা হয়নি। কিন্তু নিজের সৃষ্টি করা আয়েশা জিন তার কাছে সত্যি হয়ে উঠতে থাকে। ঘুমের মধ্যেও আয়েশা আয়েশা বলে চেঁচিয়ে উঠে।
কেবল খাবার সময়টুকু বাদে ক্রমাগত সাত দিন তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার পর পুষ্প অনেকটাই স্বাভাবিক হলো। ঘুমোনো, খাওয়া এবং বাসায় থাকা সব মিলিয়ে তার লাবণ্য আরো বেড়ে গেল।
তখন কিন্তু আমাদের অংক স্যার এ বাসাতেই লজিং মাস্টার। স্যার থাকেন নিচতলায়। তার পাশের রুমটা আমাদের রিডিং রুম। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্যার আমাদের এখানেই পড়ান। মাঝখানে সিঁড়ি। সিঁড়ির পরের রুমটা বাবার অফিস, তার পরেরটা বেডরুম। বাবা কখনো এখানে ঘুমান কখনো উপরে। যখন নিচে ঘুমান আমাদের ধারণা তখন খারাপ কিছু করেন। খারাপ মানে সব সময়ই মহিলা নিয়ে শোয়া নয়, কখনো আত্মসাতের পরিকল্পনা, কখনো নির্বাচন কেন্দ্র দখলের ছক, কখনো হত্যার ষড়যন্ত্র এসবও আছে। দোতলায় চারটা বেডরুম একটা রুম ড্রইং কাম ডাইনিং। তবে ডাইনিং টেবিলে আমাদের বসা হয় না।
অংক স্যার পান সিগারেট খান না, তবে চা খান। ৭টা থেকে ৯টা এই দু’ঘণ্টায় তাকে দু’কাপ চা দিতে হয়। ১০টার দিকে রাতের খাবার দেয়া হয়, কখনো রিডিং রুমে বসে খান, কখনো নিজের বেডরুমে।
যে সময় পুষ্প আপুকে বোরকা পরিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়, আমরা সবাই সতর্ক ছিলাম যেন ব্যাপারটা স্যার টের না পান। পুষ্পের নিরুদ্দেশ হয়ে যাবার ব্যাপারটা স্যার জানেন। যখন ফিরে এসেছে কোনো আত্মীয়ের বাসায় ছিল এমন কিছু বলে আমাদের হাতের পাত্র অংক স্যারকে রাজি করানো যাবে এটাই সবার ধারণা। তাছাড়া এখন তো দেখতে আরো বেশি সুন্দর!
আমি স্যারকে পছন্দ করি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি স্যারের প্রেমে পড়েছি বা তিনি আমার প্রেমে পড়েছেন বা দু’জন দু’জন দুজনের প্রেমে পড়েছি। স্যার যদি পুষ্পকেও বিয়ে করেন তাহলেও বলা যায় আমারই থাকলেন।
কিন্তু আমার হিসেবি বাবা মনে করলেন পুষ্প যত কোমলই হোক তার জন্য প্রয়োজন বেশ কড়া একজন হাজব্যান্ড।
তার কাছে কড়া মানে সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশের লোক। সেনাবাহিনীর সিপাই ধরনের পাত্র মিলল, কিন্তু পুলিশে পাওয়া গেল দু’জন এএসআই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর অব পুলিশ। সাব-ইন্সপেক্টর মানে দারোগা আর ইন্সপেক্টর হলে তো ওসি। অফিসার ইনচার্জ। তার চেয়ে বড় আর কে আছে? কাছাকাছি থানা বা জেলার নয় তার চাওয়া দূরের কোনো জেলার পাত্র।
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি থানার এএসআই কাজী নজরুল ইসলাম পাত্রীর ছবি দেখে মুগ্ধ, ১৫ জন আত্মীয় ও বন্ধু নিয়ে এয়ারকন্ডিশনড মাইক্রোবাসে করে দেখতে এলেন। পুষ্প যখন তাদের দিকে চোখ তুলে চাইল, সবার বুকের ভেতর ধক করে উঠল এতো সুন্দর!
দু’দিন দেরি হলে পাত্রী হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় তারা তখনই বিয়ে পড়ানোর দাবি তুললেন।
আমার বাবা বললেন, তা কি করে হয়? আমার বড় মেয়ে। আমার মেয়ের বিয়েতে কতো মানুষ আসবে, আমার ছেলেমেয়েরা আনন্দ করবে।
ঘটক বললেন, চেয়ারম্যান সাহেব, পাত্র যদি আপনাদের পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে দেরি করার কোনো মানে নেই। আমার বাবার একজন চেলা, তার সকল দুষ্কর্মের সহযোগী হেদায়েতুল্লাহ বললেন, বড়ই খাঁটি কথা। চেয়ারম্যান সাহেব এজাজত দিন।
আধঘণ্টার মধ্যে কাজি, মাওলানা সব হাজির। এমনকি শুকনো খেজুরও। বিয়ে হয়ে গেল।
আমার অংক স্যার রুম থেকে এক সেকেন্ডের জন্যও বের হননি।
পাত্রের বাবা খুব বিনয়ের সাথে বললেন যে তার মায়ের খুব সখ ছিল নাতির বৌ দেখা যদি তিনদিন পরেও বৌ তুলে নেন হয়তো তার দেখা হবে না। যদি বৌমাকে আজই নিয়ে যেতে পারতেন তাহলে নজরুল ও পুষ্প বৌমা দাদির দোয়াটা নিতে পারত।
ঘটক বলল সমস্যা কোথায়? ইসলামে অনুষ্ঠানের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, বরং নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
হেদায়েতুল্লাহ তিনবার আলহামদুলিল্লাহ বলে আমার বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, চেয়ারম্যান সাহেব মুরুব্বির দোয়ার বেশি দাম, না বিয়ের অনুষ্ঠানে পোলাপানের বেশরিয়তি হইচইয়ের বেশি দাম?
আমার বাবা কায়দা করে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে বললেন, হেদায়েতুল্লাহ তুমিও তো আমার পুষ্পের অভিভাবক। যাও তুমি ভেতরে গিয়ে পুষ্পের মাকে বিজ্ঞেস করো, তারপর তোমরা সিদ্ধান্ত নাও। আমার মেয়ের জন্য বুকটা ফেটে যাচ্ছে।
হেদায়েতুল্লাহ মার সাথে কি আলাপ করেছেন সেটা বুঝতে আমার সময় লাগেনি নিশ্চয় বলেছেন যত তাড়াতাড়ি পার করে দিতে পারেন ততই মঙ্গল। নতুবা তারেকের সাথে কেলেঙ্কারির কথা জানাজানি হয়ে যাবে, তখন বিয়ে তো ভাঙবেই, চেয়ারম্যান সাহেবের মান-ইজ্জতে টান পড়বে।
মাকে বলতে হয় যা ভালো মনে করেন, আপনারা করেন।
হেদায়েতুল্লাহ এসে বললেন, চেয়ারম্যান সাহেবের স্ত্রী কামেল ও বুঝদার মানুষ। তিনি বলেছেন আমরা যেন যাত্রার আগে দোয়া করি, আল্লাহ যেন দাদিজানকে সহি-সালামতে রাখেন।
পাত্রপক্ষ পছন্দের পাত্রী নিয়ে যেতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আমার বাবার নাটকীয় উপস্থাপনা গুনে তা অবাধে বাস্তবায়িত হয়ে গেল।
কুড়ি সিটের গাড়ি কাজেই পুষ্পের কারণে গাড়িতে চাপাচাপির কোনো কারণ নেই।
গাড়িতে উঠার সময় পুষ্প কাঁদল না, বাবার দিকে, মার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। মা কেঁদে ফেলল, আমাদের চোখ ভেজা, এমনকি বাবারও। হঠাৎ পুষ্প বলল, স্যার কোথায়? স্যারকে ডাকো?
আমরা একজন অন্যজনের দিকে তাকাই।
বাবাই স্যারকে ডেকে এনে বলেন, আমার বাচ্চাদের টিচার।
পুষ্প কাউকে সালাম করেনি, কিন্তু শরীর যতটা সম্ভব নুইয়ে স্যারের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করল।
অথচ আমি পুষ্পকে কখনো স্যারের সাথে একটি কথা বলতেও শুনিনি।
অংক স্যার
পরিচিতজনদের কাছ থেকে নিজেকে আড়ালে রাখার জন্যই আমি দূরের কোনো কর্মক্ষেত্র খুঁজছিলাম। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেখেই আবেদন করি। স্কুলের নামটিও সে-ই প্রথম শুনি। এসএসসি পর্যায় পর্যন্ত অংক শেখাতে বিএসসি ডিগ্রিধারী না হলেও চলে কিন্তু বোর্ডের সাথে অ্যাফিলিয়েশনের শর্তই হচ্ছে বিএসসি শিক্ষক। আমি বিএসসির পরও একধাপ এগিয়েছি, কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে তার চেয়ে বেশি থাকলে ওভার কোয়ালিফাইড মনে করে ক্যান্ডিডেটদের শর্টলিস্টে নাও আনতে পারে। কিন্তু ভাবিনি আমিই একমাত্র আবেদনকারী লং লিস্ট বলি কি স্পর্ট লিস্ট আমারটাই একমাত্র আবেদন। এর কয়েকটা কারণ থাকতে পারে : অংকে আগ্রহী লোকজন স্কুলে কিংবা অন্য কোনো কর্মক্ষেত্রে আগেই যোগ দিয়েছে, তাদের মধ্যে আর কেউ বেকার অবস্থায় নেই। কিংবা এই এলাকার বিএসসিরাই যখন শহরের দিকে চলে গেছে, ঠেকায় না পড়লে শহরের বিএসসি এদিকে কেন আসবে। তাছাড়া বেতনও তো তেমন বেশি কিছু নয়।
ইন্টারভিউর আগের দিন ফোন পেলাম, আসছেন তো?
অবশ্যই, চাকরিটা আমার দরকার।
এসএসসি ক্যান্ডিডেটদের অংকটা দেখাতে পারবেন তো?
অবশ্যই, সেটাই তো অংকের টিচারের কাজ। কিন্তু আপনি কে বলছেন?
আমি হেড মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন। আমরা এমপিওভুক্ত বেতনের বাকিটা পেতে সমস্যা হয় না। অন্তত গত চার-পাঁচ বছরে সমস্যা হয়নি। যদি সত্যিই এখানে কাজ করতে চাও তাহলে ব্যাগ গুছিয়ে এসএসসি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছুটি পাবে না এটা মাথায় রেখে চলে এসো।
জি স্যার, আপনি যেভাবে বলবেন।
ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কয়েকটি ফটোকপি বাড়তি কিছু পাসপোর্ট সাইজ ছবি সাথে এনো। স্কুল থেকে মাইল দেড়েকের মধ্যে একটি ব্যাংক আছে, এখানে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। আর বালিশ-তোষক চাদর এসব বোঝা টানতে যেয়ো না। আমাদের গভর্নিং বডির মেম্বার, এখানকার ইউপি চেয়ারম্যান তার বাসায় একজন বিএসসি লজিং মাস্টার চাচ্ছেন, তোমার বায়োডাটা দেখেছেন, বলেছেন তোমার চাকরি হলে তোমাকে নেবেন। কাল একটা ইন্টারভিউ হবে, তার জন্য চিন্তা করো না। আমি তাকে খবর দিয়ে দিচ্ছি যেন তোমার ব্যবস্থা রাখেন।
স্যার, আপনি যেভাবে বলেন।
হেডস্যার বললেন, কয়েকজন মেস করে থাকে, এক রুমে চারজন। তার চেয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়িতে একটা সিঙ্গল রুম পাচ্ছো, অবস্থাপন্ন মানুষ খাওয়া-দাওয়াও ভালো পাবে।
আমি এক স্যুটকেস হাতে নিয়ে অনেকদিন ধরেই ঘরছাড়া। একটা দীর্ঘকালীন সুস্থির বসতিই আমি চাচ্ছিলাম। আমি ইন্টারভিউর দিনই নিয়োগপত্র পেলাম। হেডস্যার বললেন, আমার আর কী করার আছে। অংক স্যারদের কেউ টিকতে পারছেন না। আর এবার তো সবেধন নীলমনিÑ তুমিই একমাত্র ক্যান্ডিডেট, যখন নিশ্চিত করলে যে আসছ, তখনই নিয়োগপত্রটি রেডি করে ফেললাম। তোমারও বেশি ঝামেলা করার দরকার নেই। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের নিচে লিখে দাও, আজ যোগদান করলাম, নিচে সই করে দাও। তাহলে বেতনটা আজ থেকেই পাবে।
স্কুলের সবচেয়ে মুরুব্বি শিক্ষক পদার্থ বিভাগের হুদাল্লিল মুত্তাকিন আমাকে ক্লাসগুলোতে নিয়ে গেলেন, ছাত্রীদের বললেন, তোমাদের বিএসসি টিচার। অংক করাবেন।
পুরাতন ক্লাস টেনে ঢুকতেই হাসিমুখ একটি মেয়ে বলল, স্যার আমার নাম বাবলি, আমাদের কিন্তু অংকের এক্সট্রা ক্লাস নিতে হবে।
মুত্তাকিন স্যার বলে দিলেন, আগে রেগুলার ক্লাস শুরু হোক।
আমি বললাম, চিন্তা করো না। তোমাদের আগ্রহ থাকলে আমার দিক থেকে সমস্যা নেই।
মুত্তাকিন স্যার, আঙ্গুলের ইশারায় গার্লস হোস্টেল দেখালেন। স্কুল এবং এখানকার মানুষ সম্পর্কে একটা ব্রিফিং দিতে গিয়েও থেমে গেলেন। বললেন, যাক, নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকে শেখে নেবেন।
হেডস্যারের রুমে তখন জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ চলছে। টিচার্স রুমে তিনজন পুরুষ ও এবং পাঁচজন নারী শিক্ষকের সাথে আলাপ হলো। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্কজন বললেন, গার্লস স্কুলে ব্যাচেলর পুরুষ টিচার নেওয়া ঠিক নয়। ছাত্রীদের প্রেমে পড়ে যায়।
আমি যে তখনও ব্যাচেলর সম্ভবত টিচারদের জানা হয়ে গেছে।
হুদাল্লিল মুত্তাকিন বললেন, গুলশান আরা এতোদিন পর এ কথা বলছ কেন? তোমার কারণেই আমাদের আবুল মনসুর তো কোনো ছাত্রীর দিকে তাকানোর আগেই তোমার প্রেমে পড়ে গেল। তোমাদেরটাও তো গার্লস স্কুল ছিল। ব্যাচেলর আবুল মনসুর তখন জয়েন না করলে হাজব্যান্ড পেতে কোথায়?
সেই ভুলটা করেছিলাম বলেই তো এখনো পস্তাচ্ছি। মনসুর এতোদিনে তার স্কুলের হেড মাস্টার আর আমার সাথে স্কুলে যোগ দেওয়া শবনম মুশতারির যেহেতু চোখকান খোলা ছিল বিয়ে করল পুলিশের এক প্রবেশনার এএসপিকে, সেই রাহাতউল্লাহ এখন কি আপনার ধারণা আছে মুত্তাকিন স্যার?
হুদাল্লিল মুত্তাকিন হেডস্যার ছাড়া আর সকলকে তুমি সম্বোধন করেন এবং সকলেই তাকে স্যার বলেন, এমনকি হেডস্যারও।
তিনি কিছু বলার আগেই গুলশান আরা বললেন, পুলিশের এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল।
মুত্তাকিন স্যার হেসে উঠলেন, তোমার ক্লাসমেট এসএসসি ফেল করা, নুরু মাস্তানের সাথে ভেগে যাওয়া তবিবুন্নেসা খানম তো প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন সবই নিয়তি গুলশান, সবই নিয়তি।
গুলশান আরা বললেন, নতুন স্যারকে তাহলে আমিই চা-বিস্কুট খাওয়াই।
টিচার্স রুমের আয়াকে ডেকে ডাইজেস্টিভ বিস্কুট আর ফ্লাস্ক ভর্তি দুধ চা নিয়ে আসার জন্য টাকা দিলেন।
মুত্তাকিন স্যার বললেন, গুলশান আরা দখিনদুয়ারির একনম্বর ভাগ্যবতী। রেড ক্রিসেন্ট লটারির ৩০ লাখ টাকার প্রাইজটা পাবার পর প্রতি মাসের শেষ বৃহস্পতিবার গুলশান আমাদের বিরিয়ানি খাইয়ে যাচ্ছে, সেই বিরিয়ানির টানেই তুমি এখানে এসেছ কি না কে জানে।
তিনি বাকি চারজন নারী শিক্ষকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মমতাজ মহল ম্যারেড, চন্দনা ভৌমিক এনগেজড, মায়মুনা খাতুন ম্যারেড এবং সুমনা রহমান আন ম্যারেড।