×

শিক্ষা

জিয়া পরিষদ নেতা মতিনুরের নাম জালিয়াতির অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২০, ০৯:০৭ পিএম

জিয়া পরিষদ নেতা মতিনুরের নাম জালিয়াতির অভিযোগ

ড. এ কে এম মতিনুর রহমান।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ নেতা ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের বিরুদ্ধে নাম জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। নাম জালিয়াতি ও সম্মতি ছাড়াই কিছু শিক্ষককে জিয়া পরিষদ থেকে পদত্যাগ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গত সোমবার (১২ অক্টোবর) জিয়া পরিষদ ইবি শাখার প্রতি চরম অনাস্থা জানিয়ে কিছু শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন এ মর্মে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ঐ বিজ্ঞপ্তিতে পদত্যাগের কারন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখকরণে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা, জাতীয়তাবাদের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক, কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক জিয়া পরিষদের সভাপতি (বর্তমান কেন্দ্রীয় মহাসচিব) কর্তৃক ইবি শাখায় বিভাজন ও নিয়ন্ত্রনের অভিযোগ সহ নানা কারন উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ জন শিক্ষকের পূর্ণ নাম ও স্ব-স্ব বিভাগ উল্লেখ করে জিয়া পরিষদ থেকে তাদের পদত্যাগ দেখানো হয়। কিন্তু তাদের নামের পাশে কারো কোন স্বাক্ষর ছিল না, ছিল না সবার পক্ষে কোনো সদস্যের স্বাক্ষর।

প্রেস রিলিজে উল্লেখিত পদত্যাগকারীদের কেউ কেউ এবিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। পদত্যাগ দেখানো ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মিনহাজ উল হক জানান, জিয়া পরিষদ থেকে আমি পদত্যাগ করব কেন? এখানে আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছে এটা আমি জানিই না।

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মনজুর রহমান বলেন, এখানে আমার কোন সম্মতি নেয়া হয়নি। যারা এ কাজটি করেছে তারা হয়তো কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়েই করেছে। যেহেতু ওটা নোটিশ্যাবল নই, তাই আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি না।

আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসাইন মো: নুরুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ভাষা, বিবৃতি আমার জানা ছিল না। সেখানে মহাসচিবকে দোষারোপ করে বলা হয়েছে। যা আমরা কাম্য করিনি। হঠাৎ কখন আমাদের পদত্যাগ দেখানো হয়েছে জানতে পারিনি।

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আ ও ম আছাদুজ্জামান ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার টাইমলাইনে উল্লেখ করেন, প্রেস রিলিজটি সম্পর্কে আমি অবগত নই। কাজেই এই রিলিজের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর জিয়া পরিষদ নেতা অধ্যাপক এ কে এম মতিনুর রহমানকে আহবায়ক ও অধ্যাপক এ এস এম শরফরাজ নেওয়াজকে সদস্য সচিব করে সাদা দল’র আত্মপ্রকাশ ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ে। মোট ২৬ সদস্য বিশিষ্ট এ দলে পদত্যাগ দেখানো ১৭ জনের নামও ছিল।

নাম জালিয়াতিতে অভিযুক্ত অধ্যাপক এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, পদত্যাগের আগে আমরা ভার্চুয়ালি মিটিং করেছি। যেহেতু মিটিংয়ে সবাই সম্মতি জানিয়েছেন তাই স্বাক্ষর অস্পষ্ট দেখানো হয়েছে। এটি মিটিংয়ের একটি প্রসিডিউর।

সংগঠনে পদত্যাগপত্র জমা দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে অনাস্থা জানিয়ে দলথেকে পদত্যাগ করলাম,সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমাদানের প্রশ্নই ওঠে না।

এ বিষয়ে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হুসাইন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। ওখানে পদত্যাগকারীদের কারো স্বাক্ষর কিংবা পক্ষেও কোনো স্বাক্ষর নেই। পদত্যাগ করতে হলে সংগঠনের সভাপতি কিংবা সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়, কিন্তু কেউ তা করেনি। যেসব কারণ উল্লেখ করে তারা পদত্যাগ দেখিয়েছে, সবগুলোর জবাব আমরা আগামীকালের (১৬ অক্টোবর) কার্যনির্বাহী বৈঠকে দিব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App