×

সারাদেশ

ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে বাধা দিলে অনুকম্পা দেখানো হবে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২০, ১০:৪৮ এএম

ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে বাধা দিলে অনুকম্পা দেখানো হবে না

মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে গতকাল চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে লঞ্চ থামিয়ে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম -ভোরের কাগজ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ইলিশ মাছের বিস্তার ঘটানোর কাজে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে বাধা দিলে দুর্বৃত্তদের প্রতি ন্যূনতম অনুকম্পা দেখানো হবে না। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সবাই মিলে সফল করতে হবে। ইলিশের যাতে বিস্তার ঘটে, মা-ইলিশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, ইলিশ আহরণের পরিসর যাতে আরো বাড়ানো যায় সে জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে পুলিশ, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। গতকাল বুধবার মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে লঞ্চ থেকে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ। শেখ হাসিনা যত দিন বেঁচে থাকবেন এ দেশের মানুষ না খেয়ে মরবে না। ইলিশের উৎপাদন এ বছর অভাবনীয়। এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের জন্য ইতোমধ্যে ভিজিএফ চাল মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামস আফরোজ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, নৌপুলিশ ডিআইজি আতিকুল ইসলাম পিপিএম, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, নৌপুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশিস দাশ, এএসপি (মতলব সার্কেল) আহসান হাবিব, মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার হাবিবা আফরোজ শাপলা, মতলব উত্তর থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা, মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা আকতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা কাজি মিজানুর রহমান প্রমুখ।

১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বরিশালে যৌথ মহড়া : এদিকে বরিশালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে নগরীর কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট এলাকায় অভিযানের উদ্বোধন করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান। এ সময় মৎস্য বিভাগ, নৌপুলিশ এবং কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অজিয়র রহমান বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ করলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ২২ দিনের প্রজননকালীন মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব, পুলিশ, মৎস্য অফিস ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে বিভিন্ন নদী ও বাজারে অভিযান চালাবে। এ সময় ইলিশ ধরা, সংরক্ষণ, বাজারজাত এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে কারো কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-জরিমানা করা হবে। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত জেলেদের সহায়তা সবার দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সাঈদ বলেন, বুধবার শুরু হওয়া মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ সময় ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থার কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল হলে আগামী মৌসুমে ৬৫ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে নৌ মহড়া চালায় প্রশাসন।

এদিকে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম উপলক্ষে মানবিক সহায়তা হিসেবে জেলেদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বিকালে বরিশাল সদর উপজেলা চরবাড়িয়া এলাকায় প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন ও চরবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সুরুজ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App