×

শিক্ষা

নেতাকর্মীদের সরাতে ব্যর্থ কলেজ প্রশাসন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২০, ০৮:০৫ পিএম

নেতাকর্মীদের সরাতে ব্যর্থ কলেজ প্রশাসন

কবি নজরুল কলেজের শামসুল আলম হল/ছবি: সগ্রহীত।

নেতাকর্মীদের সরাতে ব্যর্থ কলেজ প্রশাসন

কবি নজরুল কলেজের শামসুল আলম হল/ছবি: সগ্রহীত।

নেতাকর্মীদের সরাতে ব্যর্থ কলেজ প্রশাসন

কলেজের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের একমাত্র হল “শহীদ শামসুল আলম ছাত্রাবাস” থেকে অবৈধভাবে থাকা শিক্ষার্থীদের একাধিকবার নোটিশ দিয়ে সাধারণ শিক্ষর্থীদের বের করতে সক্ষম হলেও হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সরাতে ব্যর্থ কলেজ প্রশাসন। জানা যায়, কলেজের ছাত্রাবাসে এখনো ছাত্রলীগ নেতাসহ বহিরাগতরা অবস্থান করে আসছে। কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থী শঙ্ক প্রকাশ করে বলেন, সিলেটের এমসি কলেজের মতো যদি আমাদের কলেজেও এমন অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটে তার দায় দায়িত্ব কে নিবে?

করোনা সংক্রমণের কারণে ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রায় সাত মাস ধরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে ছাত্রাবাসগুলোও। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেট মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের শিকার সেই ঘটনার পর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসগুলো পুরোপুরি বন্ধে তৎপর হয়ে উঠে কলেজ কর্তৃপক্ষ। নতুন করে ছাত্রাবাস পুরোপুরি বন্ধের নোটিশও দেয়া হয়।

[caption id="attachment_246978" align="alignnone" width="1275"] কলেজের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।[/caption]

সুত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও বহিরাগত তার ২বন্ধু, ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক টিটব, সহ সম্পাদক রাকিব হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী রাফিউজ সাকলাইন, এনায়েত, মাসুম, হৃদয়, ছত্রলীগ কর্মী মেহদী হাসান, তিতুমির কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল, আরাফাতসহ প্রায় ৩০জনের মতো এখনো হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছে। যারা বেশির ভাগই রাতে এসে হলে অবস্থান করছেন।

হলে থাকা এক শিক্ষার্থী জানান, এদের মধ্যে সদ্য বিদায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান মোহন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাওলাদারের কমিটির সবেক সহ সম্পাদক রাকিব হোসেন বর্তমানে কলেজের শিক্ষার্থী না হয়েও বহিরাগতভাবে হলে অবস্থান করছে। যার বিরুদ্ধে সুত্রাপুর থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। হাজতও খেটেছেও ২বার। হলে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বলেছে, হলের মধ্যে বহিরাগতদের এনে মাদক সেবন এবং মাদক ব্যবসায়া করছেন তিনি। আর তার বিরুদ্ধে কলেজ প্রশাসন জানার পরেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

হলে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদেরকে হলে না থাকতে দিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হল থাকতে সহায়তা করছেন। এসব শিক্ষার্থীরা হলে থাকা তাদের মূল্যাবান মালামাল নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে। উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসে লকডাউন চলা অবস্থায় এসব সাধারণ শিক্ষার্থীদের ২বার মালামাল চুরি হয়েছে যার মধ্যে কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং ক্যামেরাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি হয়। এ নিয়ে কলেজ কতৃপক্ষকে অভিযোগ দিলেও তাতে কোন শাড়া দেয়নি কলেজ অধ্যক্ষ।

[caption id="attachment_246977" align="aligncenter" width="512"] কবি নজরুল কলেজের শামসুল আলম হল/ছবি: সগ্রহীত।[/caption]

হলে অবৈধভাবে থাকা বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্ল্যাহ খোন্দকার ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি সর্ম্পকে আমরা অবগত। তাদের সরাতে দুইবার করে নোটিশ জারি করলেও তারা হল ত্যাগ করছে না। তিনি বলেন, হল থেকে সরাতে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবে কলেজ প্রশাসন।

সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল বাশারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কলেজ প্রশাসন চাইলে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App