×

রাজধানী

মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে প্রয়োজন দ্রুত বিচার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৩৪ এএম

মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে প্রয়োজন দ্রুত বিচার

এডভোকেট সালমা আলী।

এডভোকেট সালমা আলী একজন মানবাধিকার আইনজীবী। সভাপতি, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সাবেক প্রধান নির্বাহী। যৌন নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনসহ নারীর অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে রিট করেছিলেন তিনি। ওই রিটের শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে যুগান্তকারী রায় দেন হাইকোর্ট।

করোনা ভাইরাসেও ধর্ষণ ও বিকৃতি বেড়ে যাওয়া, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, দেশজুড়ে প্রতিবাদ আর বিক্ষোভের মধ্যে ধর্ষণের শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা বিষয়ে ভোরের কাগজের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র সমাধান নয় বলে মন্তব্য করেন সালমা আলী। তিনি বলেন, ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাচ্ছে মানুষ। প্রতিবাদী সংগঠনগুলো এই দাবিতে আন্দোলন করছে। এতে ধর্ষণ কিছুটা কমবে। তবে আমি মনে করি, এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ প্রতিরোধে আমাদের গোড়ায় যেতে হবে। অনেক সংস্কার প্রয়োজন। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ লক্ষ্যে হাইকোর্টের রায়কে দ্রুত আইনে পরিণত করা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, একের পর এক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যে সোমবার ধর্ষণ মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়ার চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর গতকাল মঙ্গলবার আইনটির অধ্যাদেশে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদ অধিবেশন না থাকায় এই অধ্যাদেশ এখন আইনে পরিণত হলো। সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এটি আইন আকারে পাস হবে।

প্রয়োজন দ্রুত বিচার উল্লেখ করে সালমা আলী বলেন, আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে ১৫ দিনের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার ও ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনটি এখনো বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। এটি জরুরি। এছাড়া সারাদেশে প্রায় শতাধিক নারী ও শিশু আদালত রয়েছে। কিন্তু মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য মামলার চাপে নারী ও শিশু আদালতগুলোর কার্যক্রম অনেকটা স্থবির। নারী-শিশু নির্যাতন মামলাগুলো দ্রুত বিচার আদালতে নিষ্পত্তি করা, মনিটর করা, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় থাকা এবং মামলার প্রতিটি ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানো উচিত।

ধর্ষণ আইনের সংজ্ঞা ঠিক করা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাক্ষ্য আইনের পরিবর্তন করে সাক্ষী সুরক্ষা নিশ্চিত করা, দণ্ডবিধি আইনের পরিবর্তন জরুরি। পুলিশ নারীবান্ধব কিনা- এসব দেখতে হবে। ট্রাইব্যুনালের জবাবদিহি থাকতে হবে। ধর্ষণ প্রমাণিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, বারবার ঘটনাকে বর্ণনা করা ধর্ষণের মুখোমুখির শামিল। সময় এসেছে এদিকে দৃষ্টি দেয়ার। অন্যদিকে ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিতে নারী ও শিশুবান্ধব পরিবেশ জরুরি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App