বের করে দেওয়া মাকে ঘরে তুলে দিলেন ইউএনও
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২০, ০৯:০৫ পিএম
আকলিমা বেগমকে নিজ ঘরে তুলে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন
আকলিমা বেগম (৬০)। এক পুত্র এক কন্যা রয়েছে তার। তার নিজস্ব জমি থাকা সত্ত্বেও থাকতে পারেনা তার জায়গায়। রয়েছে সুন্দর একটি সেসিপাকা ঘর যদিও ঘর তৈরীতে রয়েছে আকলিমার টাকা। কিন্তু ঠাঁই হয়েছে একটি জরাজীর্ণ রান্নার ঘরের এক কোনে। দীর্ঘ কয়েক বছর এভাবেই জীবন যাপন করছে ষাটোর্ধ আকলিমা বেগম।
তার সেই খতিয়ান ভুক্ত জায়গায় সেমিপাকা ঘর তৈরী করে তার ছেলে পরিবার নিয়ে বসবাস করলেও ঠাঁই হয়নি গর্ভধারিণী মায়ের। রান্নাঘরে এক কোনে থেকেও সন্তুষ্টির জীবন পার করা আকলিমাকে আজ সকালে বের করে দেয় তার ছেলে ও তার বউ।
নিরুপায় হয়ে ছুটে যান উপজেলায়। অশ্রুসিক্ত নয়নে সকল কথা খুলে বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনকে।
হাটহাজারী পৌরসভার আদর্শগ্রামের দক্ষিণ পাহাড়ের মাছুম ফকিরের বাড়িতে হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে।
অসহায় মহিলার অভিযোগ শুনে বুধবার(১৪অক্টোবর) মুহুর্তেই ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন। ঘটনাস্থলে সত্যতা পেয়ে ওই ঘরে থাকা পুত্র ও তার পরিবারকে বের করে দিয়ে প্লটের মুল মালিক ষাটোর্ধ মহিলা আকলিমাকে বুঝিয়ে দেন তিনি। একই সঙ্গে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেজন্য পার্শ্ববর্তী সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
আকলিমা বেগম জানান,আমি অসহায় দরিদ্র। আমার নিজস্ব জায়গা আছে, ছেলে মেয়ে থাকার পরেও জরাজীর্ণ রান্নার ঘরের এক কোনে আমার বসবাস প্রায় ৬/৭বছর ধরে।তার পরেও আমি সন্তুষ্ট ছিলাম। আজ সকালে ছেলের সাথে ঝগড়া হওয়াতে সেই রান্নার ঘর থেকেও বের করে দেয়।আমার জিনিসপত্র সব বাহিরে ফেলে দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে ইউএনও স্যারের কাছে ছুটে গেলে তিনি আমার ঘরে আমাকে তুলে দেয়। আমি অনেক খুশি।আল্লাহ আমাদের ইউএনওকে দীর্ঘ হায়াত দিন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন,ষাটোর্ধ এক মহিলা আমার কার্যালয়ে এসে তার অভিযোগ গুলো বলেন। তার পুত্র ঘর থেকে বের করে দেয়। যিনি জায়গার মুল মালিক তাকেই উচ্ছেদ এমন দুঃখজনক কথাগুলো শুনে দ্রুত ওই এলাকায় গিয়ে সত্যতা পেয়ে মহিলাটিকে তার ঘরে তুলে দেয়া হয়।সন্তানকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে যদি জায়গার মালিকের সাথে থাকতে হলে মালিককে সন্তুষ্ট করে থাকতে হবে। এসময় মডেল থানার এস আই আবুল বাশার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।