×

জাতীয়

অ্যামফিটামিন পাচারের পেছনে ভারতীয় চক্র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২০, ০৬:১১ পিএম

অ্যামফিটামিন পাচারের পেছনে ভারতীয় চক্র

ডিএনসি ডিজি

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার বলেছেন, রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জব্দকৃত সাড়ে ২৪ কোটি টাকার অ্যামফিটামিনের চালানটির পেছনে ভারতের মাদক ব্যবসায়ী চক্র জড়িত। চালানটি ভারত থেকেই বেনাপোল সীমান্ত পথে দেশে প্রবেশ করানো হয়। এরপর তাদেরই যোগযাজশে বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকা এনে মালয়েশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাচারের চেষ্টা করছিলো বাংলাদেশি চক্র। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশী ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার চক্রও চিহ্নিত। তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ডিএনসি সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে ডিজি মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর অ্যামফিটামিনের চালানটি জব্দ হওয়ার সময় ৬ জনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছিলো। পরে বিভিন্ন সময় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশি ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএনসি। তারা হলেন, পাচারের অন্যতম হোতা আত্মগোপনে থাকা মো. রুবেল হোসেনের ভগ্নিপতি মো. মাজেদ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেইড এন্ড লজিস্টিকের লোডিং সুপারভাইজার রেজাউল হক বাবলু, শিপমেন্ট প্যাকেজিংয়ে জড়িত জুনায়েদ ইবনে সিদ্দিকী, মো. নজরুল ইসলাম, বাবুল মজুমদার ও বাপ্পী, মিটফোর্ডের কালাম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী মো. আবুল কালাম বান্টি।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মিটফোর্ডের কেমিক্যাল ব্যবসায়ী বান্টি মূলতো জুনায়েদ ও নজরুলের কাছে ওই অ্যামফিটামিন বিক্রি করে। বান্টির সঙ্গে জুনায়েদ ও নজরুলের যোগাযোগ করিয়ে দেন দীন ইসলাম ও সাইফুল নামে দুজন। তাদের দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। জিজ্ঞাসাবাদে বান্টি জানিয়েছে, সে ভারতীয় কেমিক্যাল ব্যবসায়ী হাবিব মাস্টারের মাধ্যমে অ্যামফিটামিন সংগ্রহ করতো। হাবিব মাস্টারের সহযোগী রাজখান বেনাপোল সীমান্ত পার করে ড্রীমল্যান্ড, করতোয়াসহ বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে চালান ঢাকায় বান্টির কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকা থেকে তৈরি পোশাকের আড়ালে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কার্টুনের মধ্যে কার্বনের লেয়ার দিয়ে ক্যাভিটি তৈরি করে পাচার করা হতো।

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার বলেন, এরআগেও এ চক্র একই কায়দায় বেশ কয়েকটি চালান পাচার করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। কতটুকু পাচার করেছে সে বিষয়ে জানা যায়নি। তবে, এ প্রক্রিয়ায় তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছে বলে জানিয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতীয় চক্রটি চিহ্নিত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় যার কাছে পাঠানো হচ্ছিলো তাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে ধরতে ইন্টারপোলকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদকের চালান ঠেকাতে সব কুরিয়ার সার্ভিসকে স্ক্যান ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে। অভিযানের সুবিদার্থে ডগ স্কোয়াড ও স্ক্যানার প্রযুক্তি সংযুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানান মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App