যশোরের মনিরামপুরের এক স্কুলের গাছের টেন্ডারকে কেন্দ্র করে টেন্ডারবাজদের হাতে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানমের ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলাম নয়ন ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সন্দীপ ঘোষ ও সবুজ। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) মণিরামপুর উপজেলার শাহপুর সরাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছের টেন্ডার ক্রয় করতে গেলে তাদেরকে মারপিট করে আহত করা হয়। চালুয়াহাটী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক পান্না খান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের ৩৭টি গাছের টেন্ডার ডাকা হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরীসহ সরকারি কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় লোকজন জানান, দরদাম ডাকার সময় একই দলের ১০ থেকে ১২ জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলাম নয়নকে ছুরিকাঘাত করে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সন্দীপ ঘোষ এবং সবুজ কর নামে এক যুবককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মণিরামপুর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎক ডাঃ জিসান জানান, আহত এ তিনজনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম জানান, তাদের কেবল মারপিট করা হয়নি, টেন্ডার ক্রয় করতে যাওয়া সন্দীপ এবং সবুজকে মারপিট করে ৩ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর বাহিনীর লোকজন নেক্কারজনক এ কাজটি করেছেন। তবে এ ব্যাপারে জানার জন্য উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে থাকা যুবলীগ নেতা পান্না খান জানান, মারামারি নয়-একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, যেহেতু ঘরের মধ্যে ছিলাম তাই বাইরের কোন খবর বলতে পারবো না। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা সন্দীপ ও সবুজকে মারপিট করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করনেনি। তবে দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।