×

আন্তর্জাতিক

চীনকে সেনা সরিয়ে নেয়ার দাবি ভারতের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২০, ০৫:১৮ পিএম

ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চীনা সেনা সম্পূর্ণ সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত। এ ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা খসড়া তৈরি করে চীনের হাতেও দিয়েছে তারা। ওই খসড়ায় প্রথমে গালওয়ান এলাকার ভূখণ্ড, তার পর প্যাংগং হ্রদের উত্তর ভাগ এবং সব শেষে বর্তমান সংঘর্ষবিন্দু অর্থাৎ হ্রদের দক্ষিণ ভাগ থেকে লাল ফৌজ সরানোর দাবি জানানো হয়েছে। লাদাখের ভারতীয় ভূখণ্ড চুশুলে ভারত চীনের এক সামরিক স্তরের আলোচনায় এ দাবি জানায় ভারত। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে সামরিক স্তরে সাত বার বৈঠক হল। ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি, গত ২২ সেপ্টেম্বরের বৈঠকেও এই পরিকল্পনা নিয়েই বেজিং-এর সঙ্গে কথা হয়েছিল। এটাই ভারতের বরাবরের অবস্থান। ভারত এপ্রিলের আগে যেসব পোস্টে টহল দিতে পারত সেই এলাকাগুলো ফেরত না পেলে সীমান্ত সংক্রান্ত কোনো আলোচনাই যে ফলপ্রসূ হবে না সে কথা আজ ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। প্যাংগং সন্নিহিত পাঁচ থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার (গিরিশিখর) পর্যন্ত ভারত যেন আগের মতোই টহল দিতে পারে, এটাকে আবশ্যিক শর্ত হিসাবে তুলে ধরেছে দিল্লি। সেনা সূত্রের মতে, এ ছাড়া ডেপসাং এলাকায় চিনা সেনার উপস্থিতির কারণে দৌলত–বেগ ওল্ডি রোডে ভারতীয় সেনার টহল দিতে যে সমস্যা হচ্ছে, তা নিয়েও আজ কথা হয়েছে। অন্য দিকে চীনের বক্তব্য, সেনা সরানোর প্রক্রিয়াটি তখনই শুরু হবে, যখন ভারতও প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে নিজেদের সেনা পিছোবে। ভারত স্বাভাবিক ভাবেই এই শর্তে সম্মত নয়। আজ ‘বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন’-এর তৈরি ৪৪টি সেতু উদ্বোধনের সময়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ফের বলেন, ‘‘পাকিস্তান ও চিন মিলে সীমান্ত সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছে। এই দুই দেশের সঙ্গে আমাদের ৭ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে।’’ গত ছয়টি আলোচনার মতোই এ দিনের বৈঠকেও সীমান্তে সেনা কমানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও দু’পক্ষই নিশ্চিত, আসন্ন শীতে লাদাখ সীমান্তের সমস্যা মিটছে না। তাই দু’পক্ষই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যথাসম্ভব প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। সীমান্তের কাছে আধুনিক অস্ত্র, সরঞ্জাম, ব্যারাক, সৌরশক্তির ব্যবস্থাসম্পন্ন তাঁবু, চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে আসছেন চিনা সামরিক নেতৃত্ব। এদিকে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতও। এ দিনের বৈঠকের পরেও বিশেষজ্ঞদের মতে, কূটনৈতিক এবং সামরিক আলোচনা নিজের গতিতে চলবে। কিন্তু আপাতত ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে লালফৌজকে সরানো সহজ হবে না। সিয়াচেনের মতোই ভারত-চিন সীমান্তে একটি নতুন সংঘর্ষবিন্দুর জন্ম হল কি না—এত আলোচনার পরেও এই প্রশ্নটি কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সূত্র- আনন্দবাজার

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App