×

মুক্তচিন্তা

ধর্ষণ অপরাধ, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২০, ১০:৫২ পিএম

নারীশিশু ধর্ষণের মতো অপরাধ এই সমাজের উৎপত্তিস্থল থেকে উৎপাটিত হোক, যদি কারো খুঁটির জোর বেশি থাকে সেটিকে উপড়ে ফেলা হোক। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হোক। যেখানেই কিশোর গ্যাং, বখাটে এবং সন্ত্রাসী বাহিনী, অপরাধীর সাক্ষাৎ মিলবে সেখানেই যেন রাষ্ট্র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাহলেই সমাজ নারী-পুরুষের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠতে পারে। আমাদের সমাজ যেন নারীদের ওপর বৈষম্যের কোনো পুরুষতান্ত্রিকতাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়।

গত কিছুদিনের গণমাধ্যমের প্রধান খবর হচ্ছে দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের শিকার। অনেকে এর বেপরোয়া হয়ে ওঠার কারণ বুঝতে পারছেন না বলে অভিমত দিচ্ছেন। তবে করোনা সংক্রমণের সময় যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে তত পরিবার ও সমাজের মধ্যে নানারকম অভাব-অভিযোগ, সমস্যা-সংকট বেড়ে উঠছে বলে সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন। এর প্রতিফলন ঘটতে দেখা যাচ্ছে নারী ও শিশু নির্যাতন, নানা ধরনের অপরাধপ্রবণতা, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ইত্যাদি সংঘটিত হওয়ার মধ্যে। শিশু ও নারী দর্শনের মতো অপরাধগুলো অতীতেও কমবেশি ঘটেছে, এই সময়ে অপেক্ষাকৃত বেশি সংঘটিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছেÑ এটি উদ্বেগের বিষয়। নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের বিষয়গুলো সমাজে বিকৃত মানুষের ব্যাধি হিসেবে স্বীকৃত। আমাদের সমাজে নানা কারণেই এই বিকৃত ব্যাধি প্রসারিত হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছেÑ অশিক্ষা, কুশিক্ষা, প্রযুক্তির অপব্যবহার সমাজে পুরুষদের ক্ষমতার অপচর্চা, পৃষ্ঠপোষকতা, রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ইত্যাদি। সমাজে দীর্ঘদিন থেকেই শিক্ষা, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রসারে যেসব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আগে কার্যকর ছিল, ভ‚মিকা রাখত সেগুলোর বেশিরভাগই এখন অকার্যকর কিংবা অনুপস্থিত। ফলে সমাজে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা শিক্ষা-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ চর্চায় সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-শৃঙ্খলা থেকে দূরে সরে গেছে। সেই অবস্থায় গ্রামীণ সমাজে উঠতি তরুণরা পড়াশোনার সঙ্গে সাংস্কৃতিক চর্চার পূর্বেকার ধারাবাহিকতা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর ফলে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া বিরাটসংখ্যক কিশোর ও তরুণ বখাটে হয়ে যাওয়ার অবস্থানে চলে যাচ্ছে। তাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি কিংবা সৃজনশীল কাজে যুক্ত করার উদ্যোগ যথাযথভাবে নেয়া হচ্ছে না। ফলে এদের একটা বড় অংশই গ্রামে-গঞ্জে নানা অপরাধ ও অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, গড়ে উঠছে নানা ধরনের কিশোর গ্যাং। এরা গ্রামে নিজ নিজ বলয় ও গ্রুপ তৈরি করে অপরাধ সংঘটনে লিপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে। সমাজের কিছু কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কোনো কোনো গ্রুপের হাতিয়ার হিসেবে এরা ব্যবহৃত হয়। এর বিনিময়ে এরা এলাকায় মাদক সেবন, বেচাকেনা, স্কুল-কলেজপড়–য়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত, হয়রানি করাসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এরাই কালক্রমে এলাকার মাস্তান, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, নারী-শিশু ধর্ষণকারী রূপে পরিচিতি লাভ করতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার একটি অংশ এসব বখাটে ও আঞ্চলিক দুর্বৃত্তদের হাতে ঘটতে দেখা গেছে। শহরাঞ্চলেও নানা অপরাধীচক্র সক্রিয় রয়েছেÑ যারা মাদক কারবারি, ছিনতাই, নারী ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতিসহ নানা ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকা সত্তে¡ও শহরগুলোতে অপরাধীরা অপরাধ সংঘটনে মুখিয়ে থাকে। তাদের হাতেই নারী নির্যাতনের বেশকিছু ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া পরিবারে নানা বিষয় নিয়ে কিছু কিছু পুরুষ শিশু ও নারী নির্যাতনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে দেয়। আবার বিকৃত রুচির অনেকেই শিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটাচ্ছেÑ যা অনেকের কাছেই অকল্পনীয় মনে হতে পারে। এই যেমন সাভারে এক বাড়িওয়ালা তিন বিয়ে করা সত্তে¡ও ভাড়াটেদের মেয়ে শিশুদের ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। অথচ এই মানুষটির বয়স এখন ষাটোর্ধ্ব। সাম্প্রতিক ধর্ষণ ঘটনাগুলোর মধ্যে পিতার হাতে কন্যা ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে। বখাটেদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন বর্বরোচিত ঘটনা সবাইকে আতঙ্কিত করেছে। তার মানে এরা দলবদ্ধভাবে ঘুরাফেরা করছে এবং কোনো নারী বা শিশুকে একা পেলে গণধর্ষণ করার প্রবৃত্তি ঘটিয়ে থাকে। এছাড়া বিয়ের লোভ দেখিয়ে অনেকেই তরুণীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তরুণীরা প্রতারিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে সালিশ, মামলা এবং সর্বশেষ অনশনে বসেছেন। অথচ প্রতারক এবং তার সহযোগীরা ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে এখন সমাবেশ করছে, বক্তৃতাও দিচ্ছে। সুতরাং দেশে ধর্ষণের যেসব ঘটনা ঘটছে তার প্রতিটি আলাদা চরিত্র নিয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে। এই ধর্ষণগুলো যাদের ধারা সংঘটিত হয়েছে তাদের প্রায় সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে পাকড়াও হয়েছে। তারপরও নতুন নতুন ধর্ষণের ঘটনা দেশে ঘটেই চলছে। সুতরাং এর থেকে যেটি পরিষ্কার তা হচ্ছে নারী-শিশু ধর্ষণের যেসব অপকর্ম সমাজে ঘটছে সেগুলোর ব্যাধি অত্যন্ত জটিল, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার অপব্যবহার, কুপ্রবৃত্তির নৃশংসতম প্রকাশÑ যা রোধ করা খুব সহজ কাজ নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে দেশে এক ধরনের নাড়াচাড়া পড়ার লক্ষণ দেখা গেছে। অবশ্য গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিদিনই যখন নতুন ধর্ষণের ঘটনার খবর প্রচারিত হয় তখনই এগুলোর বিরুদ্ধে সচেতন মহল সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর হওয়ার দাবি জানাচ্ছে। বিষয়টি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। তা থেকেই বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। সমাজের সর্বত্র এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করার জন্যই আন্দোলন তথা জনমত তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রতিটি গ্রাম, এলাকা এবং শহর অঞ্চলে ধর্ষণের বিরুদ্ধে জনমত সোচ্চার থাকলে এই অপরাধে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই সাহস খোঁজে পাবে না। সে কারণেই ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গ্রামে-গঞ্জে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়, রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া গেলে যেসব তরুণ কিংবা বয়স্ক ব্যক্তি এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তাদের অপরাধপ্রবণতা কমে আসার চাপ সৃষ্টি হয়। তবে পরিবার ও গ্রামীণ সমাজ যদি বখাটে এবং উঠতি তরুণদের সমাজবিরোধী কোনো কাজে যুক্ত হওয়ার আগেই তাদের নিবৃত্ত করার উদ্যোগ নেয় তাহলে বেশিরভাগ কিশোর ও তরুণ ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। সে কারণে আন্দোলনের মূল কাজটি হওয়া উচিত বেপরোয়া হয়ে ওঠার আগেই কিশোর তরুণদের লেখাপড়া, শিক্ষা সংস্কৃতি এবং সৃজনশীল কাজে যুক্ত করে দেয়া। কারো কারো ক্ষেত্রে যদি সেটি কার্যকর করা সম্ভব না হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বখে যাওয়া তরুণদের সংশোধন করার উদ্যোগ নিতেই হবে। সামাজিক আন্দোলন বলতে এটিকেই বুঝানো হয়ে থাকে। সেভাবেই রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পারে, সরকারের কাছে দাবি জানাতে পারে। কোনো অপরাধী যেন কোনো সংগঠনে আশ্রয়-প্রশ্রয় না পায় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে তবেই অপরাধপ্রবণতা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু আমাদের এখানে ধর্ষণবিরোধী যে আন্দোলনটি বিভিন্ন সংগঠন শুরু করেছে তাতে দলীয় রাজনীতি, দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাভাবনা সহজেই ফুটে ওঠে। কিছু কিছু সংগঠন ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে গিয়ে সরকার পতনের ডাক দিয়ে বসেছে। নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না কেতুকেতুু দিয়ে সরকারকে নাড়িয়ে দেয়ার আন্দোলন গড়ে তুলতে তরুণদের আহŸান জানান। যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ‘কেতুকেতু তথ্য’ দিলেন সেই মঞ্চের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক্য ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ এনে বর্তমানে অনশন করছেন। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে মান্না সাহেবের ‘কেতুকেতু তথ্যে’র আসল মাজেঝা কত দুর্বল! অন্যদিকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে নেমে সরকার পতনের যে ডাক দিলেন তাতে ধর্ষণ ও ধর্ষকরা আড়ালেই পড়ে গেল, সম্মুখে প্রাধান্য পেল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানো। বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলন করার সময় ও ইস্যু এটি যে নয় সেটি বিএনপির ঝানু নেতারা বুঝেন নাÑ তা বলব না। তবে তারা বোধহয় সময় ও ইস্যু নির্ধারণ করতে ভুল করেছেন। এখন প্রয়োজন ছিল ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে জনগণকে কীভাবে সচেতন করা যায়, রাষ্ট্র সরকার কীভাবে আরো সক্রিয় ভ‚মিকা রাখতে পারে সেটি তুলে ধরা। কিন্তু সেটি তারা করলেন না। ফলে তাদের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন কানাগলিতে ঢুকে পড়েছে। অন্যদিকে বাম ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের অনুরূপ কিছু একটা আশা করে মহাসমাবেশ ঢেকে বসেছিলেন। অনেক উত্তেজনাকর বক্তব্য তাদের কেউ কেউ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মহাসমাবেশ তাদের কতটা মহারূপ নিয়েছিল তা বুঝতে পারেনি। যেটি গণমাধ্যমে শুনেছি তা হচ্ছে বাম ছাত্রজোটের প্রধান দাবি হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ। এটি যদি তাদের এক নম্বর দাবি হয় তাহলে নিঃসন্দেহে জামায়াত, শিবির, বিএনপি ও জঙ্গিরা হাততালি দিতেই থাকবেন। আসলে বাম সংগঠনগুলোর ঐতিহাসিক ভ‚মিকায় উগ্রতা ও হঠকারিতা প্রাধান্য পেয়ে যায়। সে কারণে তাদের অনেক ভালো ভালো কাজ, চিন্তা এবং নেতাকর্মী শেষ পর্যন্ত পথ হারিয়ে ফেলে। এবারো মনে হলো ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিতা ছাত্রীটির পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করে নোয়াখালী পর্যন্ত লংমার্চ করার মধ্যে চমক সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। কিন্তু তাতে কি ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন সমাজ বদলে ভ‚মিকা রাখবে? যতটুকু বুঝতে পারছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধর্ষণের যেসব ঘটনা ঘটেছে তার প্রায় সবই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে পেরেছে। তবে তারা কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মামলার আসামিদের বিষয়ে কিছু করছে নাÑ সেটি অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়। আমরা চাই নারীশিশু ধর্ষণের মতো অপরাধ এই সমাজের উৎপত্তিস্থল থেকে উৎপাটিত হোক, যদি কারো খুঁটির জোর বেশি থাকে সেটিকে উপড়ে ফেলা হোক। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হোক। যেখানেই কিশোর গ্যাং, বখাটে এবং সন্ত্রাসী বাহিনী, অপরাধীর সাক্ষাৎ মিলবে সেখানেই যেন রাষ্ট্র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাহলেই সমাজ নারী-পুরুষের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠতে পারে। আমাদের সমাজ যেন নারীদের ওপর বৈষম্যের কোনো পুরুষতান্ত্রিকতাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়। কারণ নারী ও পুরুষ রাষ্ট্রের নাগরিক, রাষ্ট্রের সম্পদ। উভয়েই কেবল পারে রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করতে। মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App