×

জাতীয়

শরণংকর ভিক্ষুর গ্রেপ্তার চান সনাতন ধর্মের নেতারা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০, ১০:৩৬ পিএম

আসন্ন দুর্গাপূজার আগেই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ফলাহারিয়া গ্রামে সনাতন সম্প্রদায়ের প্রাচীন শ্মশান দখলকারী বৌদ্ধ ধর্মীয় ভিক্ষু শরণংকর থেরোকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী ঐক্য পরিষদের নেতারা। রবিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি ওঠে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ভণ্ড, প্রতারক, মিথ্যাবাদী, ভূমিদস্যু শরণংকর থের রাঙ্গুনিয়ার ফলাহারিয়া গ্রামে সনাতন সম্প্রদায়ের প্রাচীন শ্মশান দখল করে সেখানে কাউকে সৎকার করতে দিচ্ছে না। বৌদ্ধ ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বনবিভাগের একশ' একর জায়গা দখল করে নিয়েছে। স্থাপনা নির্মাণের নামে হাজার হাজার গাছ উপরে ফেলে বনবিভাগ ধ্বংস করেছে। এসব অপকর্ম প্রকাশের পর এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন রাঙ্গুনিয়ার শত বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নতুন খেলায় মেতে উঠেছে শরণংকর।

অন্য ধর্ম ও বিশিষ্টজনদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত উসকানিমূলক ভিডিওবার্তা ও বক্তব্য দিচ্ছে। এতে করে পুরো রাঙ্গুনিয়া এখন থমথমে। সামনে দুর্গাপূজা। যে কোনো মুহূর্তে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে শান্তির জনপদ রাঙ্গুনিয়া। ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘাত, সংঘর্ষ। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আসন্ন দুর্গাপূজার আগেই শরণংকর থেরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

রাঙ্গুনিয়া কদমতলী মন্দিরের পুরোহিত মুক্তিযোদ্ধা রূপম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল।

মানববন্ধনোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সৈয়দবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত সুজন চক্রবর্তী, অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, সাবেক ছাত্রনেতা তড়িত কান্তি দে, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের নেতা পঙ্কজ চৌধুরী, নির্মল দাশ, সুপায়ন চৌধুরী, শৈবাল চক্রবর্তী, লিপিকা তালুকদার প্রমুখ।

বক্তৃতার শুরুতে শরণংকর ভিক্ষু হিন্দুদের শ্মশান দখল করে সেখানে মরদেহ সৎকার ও দাহ করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল।

তিনি সরকারকে শরণংকর ভিক্ষুর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তা নাহলে মুক্তিযোদ্ধারাই শরনংকরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যেমন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একেকটা অরণ্য খুঁজে নিয়েছিল, তেমনি আমরা মুকিযোদ্ধারা শরনংকর ভিক্ষুকে খুঁজে নিবো। তার বিষদাঁত ভাঙতে হবে। তার একেকটা হাত ভেঙে দিতে হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এখনো ট্রেনিং ভুলে যাইনি। আগে একটা চড় মারলে তিনটি দাঁত পড়তো। এখন চড় মারলে দুটি দাঁত পড়ে। কালকেও একজনকে মেরেছিলাম দুটি দাঁত পড়েছে। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App