×

জাতীয়

মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চাই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৬:০৪ পিএম

মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চাই

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান সময়ে আমরা মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চাই। দেশের অর্থনীতিকে সবচেয়ে সমৃদ্ধ করার খাত হবে মৎস্য খাত। সেটা কীভাবে করা যায়, সেজন্য পরিকল্পনা নিতে হবে। গবেষণার ফলাফল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিলে তারা এ খাতে কাজ করতে আরো উৎসাহিত হবে। দেশের মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে মৎস্য খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। করোনাকালে পোশাক শিল্প, প্রবাসী আয় বাধাগ্রস্ত হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মৎস্য খাতকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যাতে এই বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

রবিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০১৯-২০) পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন (২০২০-২১) শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএফআরআই এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও বিএফআরআইএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মৎস্য বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও মৎস্য চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় শরীরের পুষ্টি বাড়াতে হলে, আমিষের চাহিদা মেটাতে হলে মৎস্য চাষ সমৃদ্ধ করা, সম্প্রসারিত করা এবং গবেষণা বিস্তৃত করার কোন বিকল্প নেই। করোনাকালে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটা নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে পারে মৎস্য খাত। দেশের বাইরে থেকে আসা এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা বেকারদের কর্মসংস্থান করতে পারে মৎস্য খাত। উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় খাত হতে পারে মৎস্য খাত। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত হতে পারে মৎস্য খাত। এটা আমাদের সবাইকে বিবেচনায় রাখতে হবে।

বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নদী-নালা, খাল-বিল, সমুদ্র বিধৌত এই বদ্বীপের গ্রাম-গঞ্জে সৃষ্ট মৎস্য সংকট উত্তরণের জায়গায় নিয়ে এসেছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মাছের আকার ও স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে। সফলতাকে আরো বাড়াতে হবে। মাছের অভয়াশ্রম বাড়াতে হবে। অভয়াশ্রম থেকে মা ও পোনা মাছ ধরা বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে হবে। সচেতনতাকে গবেষণার অংশ হিসেবে নিয়ে আসতে হবে।

বক্তব্য শেষে মন্ত্রী ইনস্টিটিউটের কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও মেধা দিয়ে গবেষণা করতে হবে। ইলিশ এখনো গ্রামীণ জনপদে পর্যাপ্ত নয়। আপামর জনসাধারণের জন্য ইলিশ সহজলভ্য করতে হবে। এজন্য গবেষণা জোরদার করতে হবে। ছোট মাছ নিয়ে বিএফআরআই এর গবেষণা ঈর্ষণীয়। তবে এখনো গবেষণার অনেক জায়গা রয়েছে।

কর্মশালায় ইনস্টিটিউট হতে পরিচালিত ৪৮টি গবেষণা প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও মৎস্য চাষিদের সুচিন্তিত মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের চাহিদার আলোকে ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ অর্থবছরের গবেষণা কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App