×

জাতীয়

বেকার রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়ছে উগ্রবাদে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৪১ এএম

নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে হত্যা-ধর্ষণসহ বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তারা। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে আসে বাংলাদেশের দিকে। মানবতার খাতিরে চরম অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়ে কেটে যায় তাদের অসহায়ত্ব। পায় বসবাসের ঘর এবং বিনা পরিশ্রমেই ঘরে পৌঁছে যায় খাবারসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু। এতে যেন সবল হয়ে উঠেছে পরদেশে আশ্রয় নেয়া এই রোহিঙ্গারা।

বাংলাদেশে ঠাঁই পাওয়ার পর বেশি সময় না যেতেই উগ্র হয়ে উঠতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। শুরু করে নিজেদের মধ্যে মারামারি, খুনোখুনি আর দাঙ্গাহাঙ্গামা। এতে ইতোমধ্যে অনেকের প্রাণহানি ঘটেছে। কিন্তু তবুও থামছে না তারা। বরং তাদের উগ্রতা আরো বাড়ছে। সর্বশেষ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে ১ সপ্তাহে ৬ জনের প্রাণ কেড়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে ২ বাংলাদেশি যুবকও মারা পড়েছেন। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখন শত শত সাধারণ রোহিঙ্গা পালাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কাজ-কর্মহীন বেকার জীবন আর খাবারের অভাব না থাকায় রোহিঙ্গারা এখন বেশ সবল। তাই তারা এখন নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের একটি অংশ আধিপত্য বিস্তার, মাদক আর অস্ত্র ব্যবসা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়েছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে সংঘর্ষ আর খুনোখুনি। এই উগ্রবাদীরা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে উগ্রবাদ চালাতে চায়। অন্যদিকে আরাম-আয়েশের জীবন পাওয়ায় সাধারণ রোহিঙ্গারাও ফেরত যাচ্ছে না।

আশ্রিত এসব রোহিঙ্গা শুধু নিজেদের মধ্যে সংঘাত করছে তা না। তারা ইতোমধ্যে স্থানীয় লোকজনের ওপরও হামলা করেছে। কেড়ে নিয়েছে জমি-জমা। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে স্থানীয়রা আরো বেশি ঝুঁকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাতে স্থানীয়দের অনেকে এখন অসহায় জীবন যাপন করছেন।

সচেতন লোকজন মনে করছেন, কঠোরভাবে উগ্রবাদী রোহিঙ্গাদের লাগাম টানতে হবে। তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। না হলে শুধু ক্যাম্প নয়, ক্যাম্পের বাইরেও তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ছড়িয়ে পড়বে। বড় বিপদের মুখে পড়বেন স্থানীয়রাও।

এই বিষয়ে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কক্সবাজার ১৭ এপিবিএনের অধিনায়ক হেমায়েতুল ইসলাম বলেছেন কঠোরতার কথা। তিনি বলেন, ক্যাম্পে সবাই কিন্তু সংঘর্ষ করছে না। কয়েকটি উগ্রবাদী গ্রুপ এই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। মূলত, আধিপত্য বিস্তার, অপহরণ, চাঁদাবাজির জন্য তারা এই সংঘর্ষ। এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে আমরা সব সময় তৎপর রয়েছি। রাত-দিন আমাদের সদস্যরা টহলে রয়েছে। আমাদের অভিযান জোরদার রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App