×

সারাদেশ

বন্যার প্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী চরফ্যাশনের সবজির বাজার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৪:৪২ পিএম

বন্যার প্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী চরফ্যাশনের সবজির বাজার

শাকসবজির বাজার। ছবি: প্রতিনিধি

বন্যার প্রভাবে কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী চরফ্যাশনের সবজির বাজার। উপজেলার হাটবাজারগুলোতে কাঁচা তরিতরকারিসহ শাকসবজির লাগামহীন মূল্যে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ঘুরতেই বিভিন্ন সবজিভেদে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির মূল্য। সবচেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে নতুন ধনিয়া পাতা। প্রতি কেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ শত থেকে ৫ শত টাকায়। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

লালশাক, কলমি শাক, হেলেঞ্চার শাক, মুলাশাকসহ কচু শাকের মুঠি ১০ টাকা হলেও প্রতি মুঠি ৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করতেও দেখা যায় বাজারগুলোতে। গাজর ৯০, বেগুন ৬৫, পটল ৬০, মূলা ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, পেঁপে ৫০, করলা ৭০, শসা ৬০, কাঁকরোল ৬০, বেগুন ৬০, কাঁচাকলা ১ হালি ৫০, ধুন্দল ৫০, কাঁচা মরিচ ৪ শত, ঢেঁড়শ ৬০, কচুর ছরা ৫০ ও বরবটি ৬৫ টাকার কাছাকাছি মূল্যে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

সবজির এমন লাগামহীন মূল্যে আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, উত্তর অঞ্চলে বন্যাসহ সারাদেশে অতি বৃষ্টির ফলে সবজির উৎপাদন কম। পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য সরবাহ ও আমদানি কমে গেছে। যার প্রভাবে বাজারে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সবজি।

শশিভূষণ কাঁচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শফিউল্লাহসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চরফ্যাশন সদরের পাইকারি বাজার থেকে বেশি মূল্যে সবজি কেনায় তা আবার প্রতি কেজিতে বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। পৌর কাঁচা বাজার, শশিভূষণ, দক্ষিণ আইচা, দুলারহাট ও কেরামতগঞ্জসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে বাজার ও মানভেদে সবজির মূল্য বেড়েছে প্রচুর। যা ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে বলে জানান অনেকেই।

পৌরসভার বাসিন্দা রিশাদ রহমান বলেন, বাজারে মাছ মাংসসহ শাকসবজির মূল্য বেশি হওয়ায় বাজার এক রকম ফাঁকা হয়ে গেছে। অনেক সাধারণ ক্রেতা বাজারে আসছে না এবং অনেকে আসলেও সাধ্যমতো সদাইপাতি করছেন।

কাঁচা বাজারের পাইকারি আড়ৎদার মো.ইমরান হোসেন বলেন, উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে ভারি বর্ষণের ফলে মানুষের ক্ষেতখামার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরীণ আমদানি রপ্তানি কম। যার ফলে সরবরাহ কম থাকায় যা আসছে তাই বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন জানান, আসছে শীত মৌসুমে শস্য উৎপাদন হলেই সবজি বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করি।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সবজি মৌসুম না থাকায় এবং দেশে বন্যা ও প্রচুর পরিমাণের বৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের শাকসবজি নষ্ট হয়েছে। ফলে বাজার মন্দা থাকলেও আশা করি, মৌসুমী সবজি বাজারে দ্রুতই চলে আসবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App