ক্ষতিকর মিথানল দিয়ে স্যাভলন হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানোর কারণে এসিআইকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে র‍্যাব। এ ছাড়াও ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই পন্য বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম রবিবার ভোরের কাগজকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। গত ৪ অক্টোবর জনস্বার্থ বিবেচনায় বাজারে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির ১৪টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা করে র‌্যাব। সেই পরীক্ষাতেই জানা যায়, এসিআইয়ের স্যাভলন ব্র্যান্ডের হ্যান্ড স্যানিটাইজারে রয়েছে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি। পরে অভিযান চালিয়ে এসিআইয়ের গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অবস্থিত কারখানাটি সিলগালা করেন দেন র‍্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। কারখানাটিকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফল বলছে, স্যানিটাইজার হিসেবে মিথানল ব্যবহার করলে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি হওয়াসহ আরো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারে কোনোভাবেই মিথানল ব্যবহার না করার কথা উঠে এসেছে। এ বিষয়ে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে জীবাণুনাশক উপাদান হিসেবে মূলত ব্যবহার করা হয় আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল বা ইথানল। কোনো কোনো স্যানিটাইজারে দু’টিই নির্দিষ্ট মাত্রা ও অনুপাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর কোনোটির বদলে মিথানলের ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। গত রবিবারের ওই অভিযানে আমারা স্যাভলন হ্যান্ড স্যানিটাইজারে মিথানলের প্রমাণ পাই। তবে আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য গাজিপুরের কারখানায় পাওয়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার পরীক্ষার জন্য অন্যান্য কয়েকটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। যার ফলাফল রবিবার আমরা হাতে পেয়েছি। সেখানেও মিথানলের প্রমাণ পাওয়ায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে প্রতিষ্ঠান এসিআইকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করাসহ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই পন্য বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।