×

খেলা

একাই লড়লেন মাহমুদউল্লাহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৫৮ পিএম

একাই লড়লেন মাহমুদউল্লাহ

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

করোনা ভাইরাসের দাপটে গত ৭ মাস দেশে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ ছিল। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি হোম অব ক্রিকেট মিরপুর হয়ে উঠেছিল নিষ্প্রাণ। ক্রিকেট বলতে ছিল শুধু অনুশীলন এবং প্রস্তুতি ম্যাচ। অবশেষে রবিবার (১১ অক্টোবর) বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের মধ্য দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এর ফলে নিষ্প্রাণ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

রবিবার টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের উদ্বোধনী ঘোষণার মধ্য দিয়ে। দুপুরে বেলুন উড়িয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিসিবির সভাপতি। তার আগে করোনা শহীদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২২ গজের লড়াইয়ে নেমে পড়েন উদ্বোধনী ম্যাচের দুদলের ক্রিকেটাররা। এ দিন ৩ দলের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশের মোকাবিলা করছে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ।

মাহমুদউল্লাহদের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর বাহিনী। তারা ৪৭.৩ ওভারে সব উইকেট খুইয়ে ১৯৬ রান তুলতে সক্ষম হয়। ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ একাদশের ২ ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ ৩ ওভার শেষে ১৭ রান তোলেন স্কোর বোর্ডে। যেখানে লিটন দাস ব্যক্তিগত ৭ ও নাঈম শেখ ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টির কারেণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। আধা ঘণ্টা বৃষ্টি শেষে খেলা আবারো মাঠে গড়ায়। কিন্তু বৃষ্টির আগে ২ ওপেনার ছন্দে থাকলেও বিরতিতে মনোযোগ হারান তারা। প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাঈম শেখ। এরপর উইকেটে আসেন মুমিনুল হক। কিন্তু হঠাৎ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরেক ওপেনার লিটন দাসকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ।

মাহমুদউল্লাহ একাদশ দলের সংগ্রহ তখন ৪ দশমিক ৪ ওভারে ২১ রানে ২ উইকেট। লিটন আউট হবার পরই আউট হন মুমিনুল। আল আমিনের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফেরেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক। দলীয় ২১ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ধুকতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। আর তখনই উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসকে নিয়ে গড়েন ৭৩ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। চতুর্থ উইকেটে ইমরুল-রিয়াদের জুটি আশা দেখাচ্ছিল বড় সংগ্রহের। কিন্তু সে স্বপ্নে বাগড়া দিলেন নাইম হাসান। ইমরুলের ৫০ বলে ৪০ রানের চাপের মুহূর্তের দুর্দান্ত ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে নাইমের বলে সাইফের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। ইমরুল সাজঘরে ফিরলে একাই লড়াই করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তিনি দাপুটে ব্যাটিং নৈপুণ্য প্রদর্শন করে আল আমিনের বলে ৪ মেরে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তবে ৮০ বলে হাফসেঞ্চুরি পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। পেসার মুগ্ধকে খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ৫১ রানে।

মাহমুদউল্লাহ পর আউট হন সাব্বির রহমান। তার আগে নামের পাশে যোগ করতে পারেন ২১ রান। এরপর তাসকিন আহমেদের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। শেষ দিকে আবু হায়দার রনি ১৪ এবং রাকিবুল ইসলামের ১৫ রানে ভর করে ১৯৬ রান তোলে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। বল হাতে এ দিন দুর্দান্ত ছিলেন নাজমুল একাদশের পেসার তাসকিন আহমেদ। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আল আমিন হোসেন ও তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App