×

সারাদেশ

তিন মাস ধরে নেই এলজিইডি প্রকৌশলী!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২০, ০২:৪১ পিএম

তিন মাস ধরে নেই এলজিইডি প্রকৌশলী!

এলজিইডি অফিস- বাউফল

বাউফলে তিন মাস ধরে নেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী। প্রকৌশলী না থাকায় উপজেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পণা গ্রহণ এবং চলমান কাজের দেখভালও যথাযথভাবে করা হচ্ছে না। ফলে কাজের মান নিয়ন্ত্রণ করতে নির্ভর করতে হচ্ছে উপসহকারী প্রকৌশলীদের ওপর।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বাউফলে যোগদান করেন। এর আগে তিনি পটুয়াখালী জেলার মির্জগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে একটি বিদ্যালয় নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গত ৩০ জুলাই বরখাস্ত করা হলে বাউফল এলজিইডি অফিস প্রকৌশলী শূণ্য হয়ে পড়ে। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে বাউফলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।

সূত্র জানায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ বিধি মোতাবেক বাস্তবায়ন হয়নি এবং বিদ্যালয়টি ক্রটিপূর্ণভাবে নির্মাণ করা হলে সরকারের অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। এরপরেও মো. সুলতান হোসেন ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশে আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করেন। এরফলে এলজিইডি তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন শেষে ব্যপক অনিয়মের প্রমাণ পান। এরপর তাকে মির্জাগঞ্জ থেকে প্রথমে ভোলা এবং পরে বাউফলে বদলি করা হয়।

গত ৩০ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে মো. সুলতান হোসেনকে সাময়িক বহিস্কার করেন। এরপর আগস্ট মাসের মাঝামাঝি মো. সুলতান হোসেন বাউফল থেকে চলে যান। ওই থেকেই পটুয়াখালী এলজিইডি অফিসের সিনিয়র প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ মন্ডল বাউফলে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি সপ্তাহে দুই দিন বাউফলে অফিস করছেন। কিন্তু ১৫টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌর শহর নিয়ে গঠিত বাউফলে নিয়মিত প্রকৌশলী না থাকায় চলমান উন্নয়ন কাজ এবং উন্নয়ন পরিকল্পণা গ্রহণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

একটি সূত্র জানায়, বাউফলে বর্তমানে প্রায় ২৫টি স্কুল, ৭টি ব্রিজ এবং ১০০ কিলোমিটারেরও অধিক রাস্তা নির্মাণ এবং পুনঃনির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু নিয়মিত প্রকৌশলী না থাকায় কাজের গুণগত মান দেখভাল চলছে উপসহকারী প্রকৌশলী দিয়ে। এছাড়া অনেক সময়ই ফাইল নিয়ে অফিস স্টাফদের পটুয়াখালী যেতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাউফল উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মরত কয়েকজন জনানা, এত বড় একটি উপজেলায় নিয়মিত প্রকৌশলী না থাকায় সার্বিক কাজেই বিঘ্ন ঘটছে। দ্রুত এর একটি বিহিত হওয়া দরকার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App