×

সাময়িকী

বাবলি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২০, ০৫:৫৩ পিএম

বাবলি

দখিনদুয়ারি গার্লস স্কুলে অংক স্যার টেকে না, কথাটি সত্য। কিন্তু এ অলক্ষুণে কথাটি যেন আর সত্যি না হয়, সে জন্য আপনাকে সতর্ক করতে আগেভাগে এত বড় একটা চিঠি লিখতে বাধ্য হলাম। এ কথা সত্য যে আমাদের স্কুলের মেয়েগুলো কম বয়সেই একটু বেশি পেকে যায়, আমাদের মেয়েগুলো একটু বেশি ফাস্ট, অন্তত অন্যান্য স্কুলের মেয়েদের তুলনায়। ছেলেরা আমাদের প্রপোজ করবে এতটুকু সময় অপেক্ষা করতে রাজি নই। অন্য কেউ আপনাকে প্রপোজ করার আগে আমিই কাজটা সেরে নিলাম। নতুবা পরে হয়তো আপনি বলবেন, আগে বলোনি কেন? এটাও সত্যি আপনাকে আমার বড় আপুর জন্যই পছন্দ করা হয়েছে, যদি কোনো কারণে আপু ফসকে যায়। আমি যেন আপনার ফার্স্ট প্রায়োরিটি হই। পুনরায় সালাম নেবেন। ইতি শ্রদ্ধান্তে আপনার অনামিকা ছাত্রী দশম (পুরাতন) শ্রেণি দখিনদুয়ারি গার্লস হাই স্কুল

পুষ্প বৃত্তান্ত আমার পুষ্প আপুর গল্পটাও না হয় আমিই বলি। পুষ্প সবার বড়। তারপর একটা ভাই। তারপর আমি বাবলি। আমার পর লাইজু। আরো আছে। পুষ্প দু’বারে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হয়েছিল। হয়েছিল বলা ঠিক হবে না, বাবা ভর্তি করে দিয়েছিলেন। পুষ্প আমাদের বলেছিল, পড়াশোনা আমার জন্য নয়। আমি হাউস ওয়াইফ হবার জন্য জন্মগ্রহণ করেছি। আমি ঘরসংসার করব, শ্বশুর-শাশুড়ির হাত-পা টিবব, বুকফাড়া ব্লাউজের বোতাম খুলে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াব।

পুষ্প বাবাকে বলেছিল, পড়াশোনা বড্ড কঠিন। আমাকে কলেজে ভর্তি করে টাকা-পয়সা নষ্ট করবেন না। আমি খুব ভালো করে জানি, ফেলের হার বেড়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে গালমন্দ করবেন, এমনকি তার মন্ত্রিগিরিও ছুটে যেতে পারে। সে জন্যই তিনি পাসের হার বাড়াবার নির্দেশ দিয়েছেন। সে কারণেই আমার এসএসসি পাস করা। নতুবা চারবার পরীক্ষায় বসলেও আমার পাস করার কথা নয়। আর অংক থাকলে দশবারেও না। বাবা গম্ভীরভাবে বলেছেন, আমার বড় মেয়েকে অবশ্যই গ্র্যাজুয়েট হতে হবে, দরকার হলে আমি সবগুলো বিষয়ের প্রাইভেট টিউটর রেখে দেব। পুষ্প তারপরও বাবাকে বলল, আমি তো সেকেন্ড ইয়ারে উঠতে উঠতেই বুড়ি হয়ে যাব। তার চেয়ে বাবা আপনার পছন্দের যে কোনো ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিন। বাবা মেয়ের মুখে নিজের বিয়ের খায়েশের কথা শুনে কিছুটা বিব্রত হলেও পুষ্প যে তার পছন্দের পাত্র নিয়ে কোন আপত্তি করবে না, এতেই তিনি খুশি। তিনি বললেন, সারতার সাথে তো আর আমার পুষ্পের বিয়ে হতে পারে না। ঠিক আছে, ক্লাসে আসা-যাওয়া করতে থাক আর আমিও ভালো একটা ছেলে খুঁজতে থাকি। পরীক্ষায় পাস না হলে না হবে। ততদিনে বাবা সুদর্শন পাত্র পেয়ে গেছেন। লজিং মাস্টার হিসেবে তিনি আমাদের বাসায় চলে এসেছেন। কয়েকবার আপুর সাথে দৃষ্টি বিনিময়ও হয়েছে। অথচ বাবার সাথে সন্তোষজনক এই আলোচনার একুশতম দিনে পুষ্প কলেজ থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। জেলা বার্তায় পাসপোর্ট সাইজ ছবিসহ সংবাদ ছাপা হয় : কলেজছাত্রী উধাও। পুষ্পকে নিয়ে ধর্ষণ, খুন এরকম ভয়ঙ্কর আলোচনাও হলো। তৃতীয় দিন একটা পুলিশ কেইসও হলো। জেরাতে কাউকে ছাড় দেয়া হলো না। তার ক্লাসমেট কলেজের দারোয়ান, কলেজের শিক্ষক এবং এমনকি প্রিন্সিপাল সকলকেই ধমকের স্বরে জিজ্ঞেস করা হলো, মেয়েটি কি জুয়েল আইচ না কি যে নিজেকে গায়েব করে ফেলবে? জাদুকর পিসি সরকারও লম্বা সময় নিরুদিষ্ট থাকতে পারেন না। পুষ্প কোথায় মুখ খুলুন নতুবা এমন ধোলাই দেওয়া হবে যে বোবারও মুখ ছুটবে। পঞ্চম দিন জেলাবার্তা লিখে : পুষ্প এখনো নিখোঁজ। দশম দিনের শিরোনাম : এ কী রহস্যজনক অন্তর্ধান। পঁচিশতম দিন ঢাকার পত্রিকা পুষ্পকে নিয়ে সম্পাদকীয় লিখে : পুষ্পরা কি নিখোঁজই থেকে যাবে? লেখাটিতে নেহরিন, নূরজাহান, ধরিত্রী চাকমা, রিংকি ও পেয়ারা- এই পাঁচটি নিরুদিষ্ট মেয়ের কথাও বলা হয়। রিংকির নিখোঁজ হবার দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। পুষ্প নিখোঁজ হবার তেত্রিশতম দিনে দূরের একটি নদীতে ভাসমান গলিত ও বিকৃত একটি নারীদেহের সন্ধান পাওয়া গেলে আমার বাবা দ্রæত সেখানে পৌঁছেন, পুলিশের উপস্থিতিতে এটিকে পুষ্পের লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন এবং কারো বিরুদ্ধে খুনের মামলা করবেন না এমন একটি খত লিখে দিয়ে দাফনের আয়োজন করেন। এই খত না লিখলেও চলত, তিনিই তো চেয়ারম্যান। এ সময় অন্য গ্রামের আরো একজন পিতা লাশটি নিজ চোখে দেখার দাবি জানালে তা নাকচ হয়ে যায়। তিনি শুকনো মুখে ফিরে যান। আমাদের পক্ষে বলা হয় কাফন পরানো হয়ে গেছে। লাশের অবস্থা খারাপ। কোনো পুরুষ মানুষকে দেখানো নাযায়েজ কাজ হবে। পুষ্প সমাহিত হলে আমরাও আশ্বস্ত হই, লাশটা তো পেয়েছি। আমার বাবা জনে জনে জিজ্ঞেস করেছেন, পুষ্প কোথায়? ভিন্নগ্রহের কোন আকাশযান এসে পুষ্পকে তুলে নিয়ে যায়নি তো? আমি সন্দেহ করেছি বাবাকেই। তার সাথে যে কোনো বিষয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করলে তার ভয়াবহ পরিণতি দেখতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় না। দ্বিমতপোষণকারী নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। লাশ কখনো মেলে, কখনো মেলে না। আমার বাবার প্রথম স্ত্রী, আমাদের প্রথম মাকে বিয়ের চতুর্থ মাসে বদজিন তুলে নিয়ে যায়। অপরাধ আয়েশাকে দেখতে আসা তার ফুপাতো ভাইটি তার ভগ্নিপতির অলক্ষে ভগ্নিটিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। খবরটি কোনোভাবে বাবার কানে পৌঁছলে তিনি বদজিনের নামে তিন মাসের গর্ভবতী তরুণী স্ত্রীকে তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন বলে বাবার তৃতীয় স্ত্রী মানে আমার মায়ের বিশ্বাস। সে বছরের শেষদিকে ভর সন্ধ্যায় পুকুরপাড়ে সাদা শাড়িপরা আয়েশাকে হাঁটাহাঁটি করতে দেখে বাবা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সত্যিকারের অজ্ঞান হোক কি অভিনয় করে থাকুক ঘটনাটি বেশ প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। এরপর প্রায় প্রতি সপ্তাহে একজন কি দু’জন আয়েশাকে পুকুরপাড়ে হাঁটাহাঁটি করতে দেখতে থাকে। এই আবির্ভাব আয়েশার মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃত্যু না হলে আত্মা অবমুক্ত হয় না। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাবা অবিলম্বে দ্বিতীয় বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন। পুষ্প দ্বিতীয় স্ত্রীরই প্রথম সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, আর আমি তৃতীয় স্ত্রীর সন্তান। পুষ্প নিরুদ্দেশ হবার দায় শেষ পর্যন্ত আয়েশার ওপর বর্তায়। নিজের গর্ভের সন্তান ভ‚মিষ্ঠ করতে না পারার ক্রোধ গিয়ে পড়ে সতিনের প্রথম সন্তানের ওপর। সবার অলক্ষে তিনি পুষ্প তুলে নেন। বদজিন তাকে নিরুদ্দেশ করে ফেলেছে রূপকথার এই জালটি পুষ্প নিজেই বেশ দক্ষতার সাথে বুনে। আর একে সত্য রূপ দেবার জন্য একটি হাত কেটে রক্ত বের করে সাদা কাগজে রক্তে লেখা একটি চিরকুটও রেখে যায় : ‘বড় মা আমাকে ডাকছে, আয়, আমার কাছে আয়, আমি চললাম, আর ফিরব নাÑ পুষ্প।’ (আমার সন্দেহ আছে এটা রক্ত হলেও হাত কাটা রক্ত নয়। সম্ভবত তখন পুষ্প আপুর পিরিয়ড চলছিল, সেই রক্তটাকেই কাজে লাগিয়েছে।) পুষ্পের এই স্বরচিত কাহিনী আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও বাবা বিশ্বাস করেননি। কারণ আয়শার জিন উপাখ্যান তো তারই সৃষ্টি। ঠিক একচল্লিশতম দিনে ভাড়া করা একটি কালো ট্যাক্সিতে বাবা বোরকা পরা একজন মহিলাকে নিয়ে নামলেন। দখিনদুয়ারির টাকাপয়সাওয়ালা লোকজন এমন নাটকীয় কাজ করে থাকে। আমার বান্ধবী শিরির বাবা একদিন রাত দশটার দিকে ঠিক এভাবেই আরবদেশীয় বোরকা পরা একজনকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে শরীর দুলিয়ে বাড়িতে ঢুকে শিরি ও তার ভাইবোনদের ডেকে বললেন, তোমাদের নতুন মা, পায়ে ধরে কদমবুসি করো, যদি কেউ করতে না চাও এক্ষণ এই মুহূর্তে যে কাপড় পরা আছ, সে কাপড়েই এ বাড়ি থেকে চিরদিনের মতো বেরিয়ে যাও। হিজাব ঢাকা মহিলাটি যে কে তাও তাদের দেখা হলো না। শিরি এবং তার ছোট আরও চার ভাইবোন হঠাৎ হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করল। শিরির বাবা বলল, আমি এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনব, এর মধ্যে যদি কেউ কাজটা শেষ না করে আমি নিজেই গলা ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দেব। সন্তানদের পেছনে মূর্তির মতো দাঁড়িয়েছিলেন তাদের মা। এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ পর্যন্ত গুনতেই শিরিসহ পাঁচজন তার পায়ের কাছে গিয়ে জমায়েত হলো এবং আট বলতে প্রায় সবাই হাই হিল স্যু-পরা মহিলাকে কদমবুসি করল। শিরির বাবা ঘোষণা করলেন, তোমরা ভালো ছেলেমেয়ে, তোমরা এ বাড়িতেই থাকবে। তারপর তিনি হুকুম দিলেন এবার হিজাব সরাও। চেহারাটা বেরিয়ে আসতে শিরি ও তার ভাইবোনেরা নির্বাক হয়ে গেল এবং তাদের মা চিৎকার করে বলল, মোনারে তুই আমার এতবড় সর্বনাশ কেমন করে করলি। কথাটা বলার পরই তার মাথা চক্কর দিল, তিনি ঘরের দেয়াল খামচে ধরলেন, কিন্তু ধরে রাখতে পারলেন না, শুয়ে পড়লেন ফ্লোরে। সম্ভবত অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। শিরির বাবার নতুন স্ত্রী তখন তার বোরকা ছেড়ে এক হাতে পানির গøাস আর এক হাতে হাতপাখা নিয়ে বলতে থাকল, বড় আপা সব ঠিক হয়ে, সব ঠিক হয়ে যাবে বড় আপা। শিরি বলল, এটা তার মোনা খালা। মায়ের সবচেয়ে ছোট বোন, শিরির চেয়ে বড়জোর চার বছরের বড়। শিরিই তাকে বলেছে, একবার ঘরে ঢুকিয়ে ফেললে আর করার কিছু থাকে না, মেনে নিতে হয়। ব্যাপারটা মা’র জন্য কষ্টকর হয়েছিল, অতটা কষ্ট কিংবা সমস্যা আমাদের হয়নি। মোনা খালা এমন আদর শুরু করল আমার ছোট দুই ভাইবোন এমনকি তার সাথে এক বিছানায় ঘুমোতেও শুরু করল। তখনই শিরির মা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলত, মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। এই বোরকা পরা মহিলাকে নিয়ে আমার বাবা কোন নাটক করেন তা দেখতে আমি আতঙ্কিত হয়ে তাকিয়ে আছি। বাবা মৃদু স্বরে বললেন, আয়েশার জিনের কাছ থেকে বহু কষ্টে পুষ্পকে ছাড়িয়ে এনেছি। জিন বলেছে এক মাস তালা দিয়ে ঘরবন্দি করে না রাখলে আবার নিয়ে যাবে। যাও এখন ভালো করে গোসল করিয়ে খাইয়ে দাইয়ে তার রুমে ঢুকিয়ে তালা মেরে দাও। আমরা খুশি যে জিন তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। গোসল করার সময় তার শরীর চাকচাক রক্ত দেখে মা ঘাবড়ে যায় এবং তার শরীরে জখম আছে কি না পরীক্ষা করতে চেষ্টা করে। পুষ্প কেঁদে কেঁদে যা বলে তার মানে তার কিছু হয়নি, কিন্তু রিকশা থেকে নামিয়ে বাবার লোকজন যখন তারেককে গুলি করে সে তারেকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই রক্ত তারেকের গায়ের রক্ত। তাকে তারা সেখান থেকে উঠিয়ে বোরকা পরিয়ে বাবার কাছে দিয়ে যায়। বাবা তাদের বলে ওটাকে সামলে ফেল। পুষ্প ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে। তারেক বেঁচে আছে কি না তার জানা নেই। ফোঁপানোর শব্দ বাবার কানে পৌঁছে থাকতে পারে। তিনি চেঁচিয়ে বললেন শব্দ যে জিনের কানে না যায়। একশজন বন্দুক নিয়ে পাহারায় আছে, আর যেন গুলি করতে না হয়। সে রাতে সত্যিই পুষ্পের ঘরের দরজার আংটায় তালা মারা হয়। তালা না দেখলে বাবা হয়তো ভয়ঙ্কর কিছু করে ফেলতে পারেন।

দু’একদিন পর আমরাও শুনি আমাদের পাশের উপজেলার ডিগ্রি কলেজের ছাত্র নূর আল তারেকের লাশ রাস্তার ঢালে পড়ে আছে, মাদক ব্যবসার টাকা বণ্টনে অসন্তোষ থেকে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। এই নূর আল তারেক অন্তত আমার পরিচিত নয়, পুষ্পও কখনো বলেনি। জেলা বার্তার ভেতরের পাতায় আর একটি সংবাদ : নারী ঘটিত কারণে নূর আল তারেক খুন হয়ে থাকতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করেন। তারেকের মায়ের একটি বিবৃতি ছাপা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তিনি জানেন মৃত ছেলেকে আর কোনোদিন ফিরে পাবেন না। তার যে ছেলে কোনোদিন সিগারেটও খেতো না তাকে মাদক ব্যবসায়ী বলে যারা অপবাদ দিচ্ছে আল্লাহ যেন তাদের বিচার করেন। এ দেশে ছেলে হত্যার বিচার তিনি কোনোদিনও পাবেন না এটা তিনি জানেন। তার মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে দেশের শত্রু আখ্যা দিয়ে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তাদের হাতে এখন মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট আছে, তারা চেয়ারম্যান, এমপি হচ্ছে, মন্ত্রী হচ্ছে- এ দেশে সবই সম্ভব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App