অবশেষে মাদক মামলায় জামিনে মুক্ত হলেন অভিনেতা সুশান্ত হত্যা মামলার আসামি অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। প্রায় ২৮ দিন পর বাইকুল্লা জেল থেকে বুধবার (৭ অক্টোবর) ছাড়া পেলেন রিয়া। তবে এই অভিনেত্রীর মুক্তি মিললেও ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর জামিন মঞ্জুর করেনি হাইকোর্ট।

১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রিয়া চক্রবর্তীর জামিন মঞ্জুর করেছে আজ বোম্বে আদালত। যদিও আগামী ১০ দিন থানায় হাজিরা দিতে হবে তাঁকে এবং তাঁর পাসপোর্টও জমা রাখতে হবে থানায়। আদালতের অনুমতি না নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না তিনি। এমনকি গ্রেটার মুম্বাইয়ের বাইরে গেলেও তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়ে যেতে হবে বলে, নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রিয়া জামিন পেলেও তাঁর ভাই সৌভিকের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। জামিন পান সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং কর্মচারী দীপেশ সাওয়ান্ত। রিয়ার জামিনের খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মহেশ ভাটের স্ত্রী সোনি রাজদান, অভিনেত্রী তাপসী পান্নু এবং পরিচালক অনুভব সিনহা।

এদিকে সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্টকে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (সিবিআই) চিঠি পাঠিয়েছেন সুশান্তের পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিং। ভিন্ন ফরেনসিক টিমকে দিয়ে ভিসেরা নমুনার নতুন করে পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে সুশান্তের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ঘোষণা করেছিলেন এআইআইএমএস-এর ফরেনসিক টিমের প্রধান ডা. সুধীর গুপ্ত। পরে এক সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাঁদের কাছে সুধীর গুপ্তার অডিও রেকর্ড রয়েছে, যেখানে নাকি সুধীর সুশান্তের মৃত্যুকে খুনের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরপরই আজ এআইআইএমএস-এর রিপোর্টকে ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ করেন বিকাশ সিং।

যে শর্তে জামিন পেলেন রিয়া:

১. মাদক মামলায় ১ লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে জামিন পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী।

২. তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে রিয়াকে।

৩. গ্রেটার মুম্বইয়ের NDPS আদালতের বিশেষ বিচারপতির অনুমতি ছাড়া রিয়া দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

৪. এমনকী রিয়াকে যদি গ্রেটার মুম্বইয়ের বাইরে যেতে হয় তাহলেও তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি নিতে হবে। কেন যেতে হচ্ছে তা জানাতে হবে।

৫. মুক্তির ১০ দিন পর্যন্ত রিয়াকে প্রতিদিন বাড়ির সামনের থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে যেকোনও সময়।

৬. ছ’মাস পর্যন্ত প্রতিমাসের প্রথম সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থার অফিসে উপস্থিত হতে হবে।

৭. তদন্তের স্বার্থে কোনও প্রমাণ-নথি নষ্ট করার চেষ্টা করা যাবে না।

৮. আদালতের নির্দেশ মতো এজলাসে হাজিরা দিতে হবে। বিনা কারণে অনুপস্থিত থাকা যাবে না। অনুপস্থিতির যথাযথ কারণ জানাতে হবে।