বিকাশ প্রতারণার ফাঁদে গৃহিণী, নিয়ে গেল লক্ষাধীক টাকা!
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২০, ০৬:০৮ পিএম
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিকাশ প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মোসলেমা (২৫) নামের এক গৃহিণী হারালেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ওই গৃহিণী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম মিজানুল হক। প্রতারণার স্বীকার ওই গৃহিণী উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের ভাইয়াসূতি গ্রামের সৌদি প্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
গৃহিণী মোসলেমা জানন, ৬ অক্টোবর দুপুর ওই গৃহিণীর ব্যবহৃত বিকাশ মোবাইলে ০১৮৭১৬৯৫৬৭৩ নম্বর থেকে ফোন করে অজ্ঞাত এক প্রতারক। ওই প্রান্ত থেকে বলা হয় গৃহিণীর বিকাশে ভুল করে ১০ হাজার টাকা চলে যাওয়ায় তার বিকাশ নম্বরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন সেটি পূনরায় খুলতে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লাগবে। গৃহিণী প্রতারকের প্রতারণার ফাঁদে পরে এনআইডি নম্বর দিয়ে দেন। পরে লাইনটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর দেড়ঘন্টা পর দুপুর আড়াইটার দিকে প্রতারক ০১৮২২১০৮৯৫৭ নম্বর থেকে আবার ফোন দেয় ওই গৃহিণীকে। তখন তাকে বলা হয় তার বিকাশ নম্বরটি চালু করতে হলে ০১৪০৭৯৮১৮৪৮, ০১৬০৯৬৫৬৮৮৬ ও ০১৬০৯৬৫৬৭৮২ এই তিনটি নম্বর টাকা পাঠানোর জন্য, যা পূনরায় ফেরৎ পাঠানো হবে বলে আশ্বাস প্রদান করে প্রতারক। গৃহিণী সরল বিশ্বাসে প্রতারকের প্রতারণায় পরে প্রথমে ৮০ হাজার ও পরে ৩০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু পরবর্তীতে ওই নম্বরগুলোতে ফোন দিলেও প্রকারকরা তা রিসিভ করেনি।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম মিজানুল হক জানান, এই প্রতারণার বিষয়গুলো দেশে নতুন নয়। গণমাধ্যমে প্রতিদিনই এমন প্রতারণার খবর প্রচার হচ্ছে। তারপরও সাধারণ মানুষ প্রতারকদের মিষ্টি কথার ফাঁদে পরে সর্বশান্ত হচ্ছেন। তাই স্থানীয়দের আরো বেশি সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি কোনো বিকাশ সংক্রান্ত সন্দেহ থাকলে স্থানীয় এজেন্ট বা থানায় জানানোর কথা বলেন। আর অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।